ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

আলীকদমের খাল-ঝিরি থেকে পাথর আহরণ ও পাচার চলছেই……..

1-28-400x223নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::

আলীকদমের বিভিন্ন খাল ও ঝিরি থেকে নির্বিচারে অবৈধভাবে পাথর আহরণ ও পাচার চলছেই। এতে এলাকাবাসীর পানির উৎস সংকট দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ চেয়ে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন খাল ও ঝিরি থেকে পাথর আহরণ করার সত্যতা স্বীকার করেছেন ২ নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান। তিনি জানান, এ ইউনিয়নের ভরিখালসহ কয়েকটি ঝিরিতে অবৈধভাবে পাথর আহরণের প্রতিবাদে স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমি প্রশাসনের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবো। সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান প্রুথোয়াই অং মার্মা বলেন, কতিপয় ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে ভরিখাল থেকে পাথর আহরণ করছেন। পাথর আহরণে তাদের কোন বৈধ অনুমতিপত্র নেই। পাথর আহরণের কারণে ঝিরির পানিপ্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জমি ও রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে, বাঘের ঝিরি, দুপ্রু ঝিরি, পাটের ঝিরি, কাকড়া ঝিরি, ডাকাতিয়া ঝিরি ও গুইসাপ ঝিরি থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় বহিরাগতরা নির্বিচারে পাথর আহরণ ও রাতের আঁধারে পাচার করছে। এলাকার স্কুল শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যেসব ঝিরি ও খাল থেকে পাথর আহরণ করা হচ্ছে, সেগুলি হচ্ছে পানির উৎস। পাথর আহরণের কারনে পানির উৎস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পাথর পরিবহনের জন্য নির্বিচারে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়। এতে ব্যাপকহারে বৃক্ষনিধন হয়। পারমিট ছাড়া পাথর আহরণ নিষিদ্ধ হলেও স্থানীয় ও বহিরাগতরা পাথর আহরণ করে প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় করে চলেছে। জানতে চাইলে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন বলেন, আলীকদমের কোন খাল ও ঝিরির পাথর আহরণের জন্য জেলা প্রশাসন পারমিট ইস্যু করেনি।

পাঠকের মতামত: