ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আবিদ-আফসানার একমাত্র পুত্রকে নিয়ে চিন্তিত স্বজনরা

নিউজ ডেস্ক ::

ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ও আফসানা খানমের বৈবাহিক জীবন ১৬–১৭ বছর। একমাত্র সন্তান তামজিদ মাহিকে নিয়ে ছিলো তাদের সুখের সংসার। কিন্তু সুখের এ সংসারে কালো ছায়া নেমে আসে গত ১২ মার্চ, নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস–বাংলার ফ্লাইট২১১ বিধ্বস্তের ঘটনায়। এতে ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মৃত্যুর পর একের পর এক দুঃসংবাদের কালো ছায়ার কবলে পরিবারটি। স্বামীর মৃত্যুর অতিরিক্ত টেনশনে স্ট্রোক করে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আফসানা খানম।
বাবার মৃত্যু ও মায়ের এমন অবস্থায় ভেঙে পড়েছে মাহিম। কিভাবে তাকে সান্তনা দেবেন স্বজনরা সেই ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না। এটুকুন ছেলেকে একবার হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে মায়ের অবস্থা জানতে, অন্যদিকে বাবার মরদেহের জন্যও তাকেই যেতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় আবিদ–আফসানা দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহিকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন স্বজনরা।
তামজিদ মাহি রাজধানীর উত্তরার মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র। তার এবার ‘ও লেভেল’ পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এ অবস্থায় পরীক্ষা না দিতে পারাসহ তার বর্তমান অবস্থা নিয়েও শঙ্কিত স্বজনরা।–বাংলানিউজ
গতকাল সোমবার (১৯ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে আফসানা খানমকে দেখতে আসা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
হাসপাতালে আফসানাকে দেখতে আসা মাস্টারমাইন্ডের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের সিনিয়র এডমিন অফিসার মাসুমা আক্তার বলেন, ছেলেটার বাবা নেই। তার মায়ের অবস্থা খুব ভালো নয়। তবে অনেক রিউমারও শুনছি। এখন তাকে কোন আঙ্গিকে সাপোর্ট দেবো, তাই বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা এসেছিলাম ছেলেটাকে সান্তনা দিতে। তবে এখানে এসে দেখি ছেলেটা নেই।
অন্যদিকে আইসিইউতে গিয়ে আফসানাকে দেখে এসেছেন মাহির খালাতো বোন মিম। তিনি বলেন, খালার অবস্থা ভালো না, ওনার মুখ ফুলে গেছে। শ্বাস–প্রশ্বাস নিচ্ছেন, এটুকো বোঝা যাচ্ছে। তবে আবিদ–আফসানার নিকটাত্মীয়রা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে এখনই প্রস্তুত নয়।
আফসানার সবশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আইসিইউতে কর্মরত চিকিৎসক ডা. মাসুদ খান বলেন, আমরা দুই শতাংশ সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছি। ওনার কিডনি, ফুসফুস ও হার্ট এখনো সচল রয়েছে।
হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ড. বদরুল আলম বলেন, আফসানা খানম বেঁচে আছেন। লাইফ সাপোর্টে আছেন, ওনার চিকিৎসা চলছে।

পাঠকের মতামত: