ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আক্রমনের আগে ঠেকাতে চাই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

image_155891_0নিজস্ব প্রতিবেদক  :::

ঢাকা: সম্প্রতি একই কায়দায় একের পর এক হত্যার ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন,  “আমরা সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রান্ত হতে চাই না, আমরা প্রতিরোধ করতে চাই। আক্রমণকে আমরা আগের থেকে শনাক্ত করতে চাই।”

সোমবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মুখ্য উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম টডের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন। তবে প্রতিরোধের উপায় তিনি স্পষ্ট করেননি।

সম্প্রতি নিহতদের মধ্যে অভিজিৎ রায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ইউএসএআইডিতে কাজ করতেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা সংক্রান্ত কয়েকজন বিশেষজ্ঞও ছিলেন।

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “তারা বাংলাদেশকে সাহায্য করতে তাদের ইচ্ছার কথা বলার জন্য এসেছেন। আমরা কীভাবে তাদের এই টেকনোলজি বা টেকনিক্যাল সাহায্য নিতে পারি, সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

বাংলাদেশে এসব হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো যোগসূত্র নেই বলে আবার দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যা তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে যেটা হচ্ছে, সেটা হলো আমাদের দেশীয় সন্ত্রাসী দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। তবে আমরা এই দেশীয় সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রান্ত হতে চাই না।”

নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন দূতাবাসের চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দু-একটা যে আক্রমণ হচ্ছে না, তা তো আমরা বলছি না। সেজন্য হয়ত কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন। আমাদের চিঠি দিয়েছেন। আমরা দূতাবাস পল্লীতে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছি। যার জন্য তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।”

সরকারের পক্ষ থেকে যে ষড়যন্ত্রের কথা বারবার বলা হচ্ছে, তা কি দেশের ভেতরে, না বাইরের- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ষড়যন্ত্র দেশের ভেতর থেকে হচ্ছে, বাহির থেকেও আসছে। সেটা নিয়ে আমরা একত্রিতভাবে কাজ করার কথা বলেছি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র)।”

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় তার দেশ কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটির প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: