ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরেই ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিরা : জাসদ

jsdপ্রেস বিজ্ঞপ্তি :

গত ১৩ই জুন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ আশরাফ কর্তৃক জাসদ ও জাসদের সভাপতির বিরুদ্ধে বির্তকিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক এড.আবুল কালাম আজাদ।

নেতৃবৃন্দরা বলেন বর্তমান সরকারের ভাবমুক্তি দেশে-বিদেশ ক্ষুন্ন করাও সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে উগ্র সম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠি কর্তৃক সারাদেশে টার্গেট করে মানুষ খুন করছে। এই হত্যা, খুন বন্ধ করার জন্য বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগনকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধের আহবান জানান। ঠিক সেই মুহুর্ত্যে দেশীয় এবং আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসাবে ১৪ দলের ঐক্যকে নষ্ট করার লক্ষ্যে সৈয়দ আশরাফ সাহেব ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদ ও জাসদের সভাপতি সম্পর্কে বির্তকিত বক্তব্য রাখেন। জাসদ মনে করে আশরাফ সাহেবের এই বক্তব্য ১৪দল ভাঙ্গারই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত এবং আমরা মনে করি এতে করে উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদ ও বিএনপি-জামায়াতকে উস্কে দেওয়া হয়েছে।

নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুর্ন গঠনের জন্য তৎকালীন সরকার প্রধানকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী সকল দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের আহবান জানানো হয়। তৎকালীন সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক তা প্রত্যাখান করার কারণে, পরবর্তীতে দেশব্যাপী দেশে হত্যা, নির্যাতন, অত্যাচার, জুলুম বেড়ে গেলে জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে আত্ম প্রকাশ করে জাতীয় সমাজতান্দ্রিক দল জাসদ। জাসদের রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ ৪৩ বছর পর জাতীর জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় সরকারের আদলেই মহোজোট সরকার গঠন করায় দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আশরাফ সাহেব কি জানেন না জাসদ জন্মের পর থেকে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার রক্ষী বাহিনী তৈরী করে হাজার হাজার জাসদ নেতা-কর্মীদের পাখি মত গুলি করে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় ৭৩ সালে ডাকসু নির্বাচনে নিজেদের ভরা ডুবি দেখে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ও ১৯৭৩ সনের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জাসদের প্রার্থীদের একইভাবে পরাজিত করে। রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার আওয়ামীলীগের নির্যাতন, লুটপাট, রাহাজানী, ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহায় সম্পত্তি অত্যাচার জুলুম করে দখল করার কারণে আওয়ামীলীগের শাসনামলেই ১৯৭৩ সালে দুর্ভিক্ষ হয়। দুর্ভিক্ষে বাসন্তি পরনের কাপড় না পেয়ে জাল পরিধান করে লজ্জা নিবারণ করেছিল। আওয়ামীলীগের সীমাহীন জুলুম, হত্যা, লুটপাটের কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়।

জাসদ মনে করে জাতির জনকের খুনিরা আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরেই ছিল, তার প্রমাণ ৭৫ সালে জাতির জনকের মৃত্যুর পর খোন্দকার মোস্তাক সরকারের মন্ত্রী সভায় বঙ্গবন্ধুর লাশের উপরই আওয়ামীলীগ নেতারাই মন্ত্রী হয়েছিল। জাসদ সেদিন খুনি খোন্দকার মোস্তাকের ক্ষমতার ভাগিদার হয় নাই বরঞ্চ জাসদ তখন জাতির জনকের হত্যার প্রতিবাদ রাজপথে মিছিল মিটিং লিফল্যাট বিতরণ করেছে।

দেশের এই বিরাজমান পরিস্থিতিতে বৃহত্তর ঐক্যর স্বার্থে ১৪ দলীয় মহাজোট নেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানাচ্ছে। অন্যথায় জাসদ মনে করে এতে করে ১৯৭৫ এর মতোই আবারো দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক সম্রাজ্যাবাদী গোষ্ঠির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে পেছনের দরজা দিয়ে হঠিয়ে দিয়ে পতিত বিএনপি-জামায়াতই লাভবান হবে। তাই ১৪ দলীয় মহাজোটের ঐক্যকে সুদৃঢ় করনের লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরের সর্বোচ্চ মহল থেকে এ ধরনের হটকারী, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান বন্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তেক্ষেপ কামনা করছে।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রমজান আলী বাহাদুরের মৃত্যুতে জেলা জাসদের শোক

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী বাহাদুর গত ১৩ জুন রাত ৯টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করায়, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম এবং শহর জাসদের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাসু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

 

পাঠকের মতামত: