মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দূর্গম ত্রিশডেবা এলাকায় মারক মুরুং (৫৫) নামে এক কার্বারী (পাড়া প্রধান) খুন হয়েছে। সে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাকঁখালী হেডম্যান পাড়ার মৃত রইনা মুরুং এর ছেলে এবং ওই পাড়ার কার্বারী।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, খুনের সন্দেহে ত্রিশডেবা মার্মা পাড়ার অংথোয়াই মার্মার ছেলে মংচাচিং মার্মা (২৫) কে রোববার রাতে আটক করে সেনাবাহিনী। মংচাচিং মার্মা ত্রিশডেবা এলাকার অংথোয়াই মার্মার ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের দায় স্বীকার করে। সোমবার দুপুরে লামা থানার পুলিশের একটি টিম দূর্গম ত্রিশডেবা এলাকায় অভিযুক্ত মংচাচিং মার্মাকে সাথে নিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধারে রওনা হয়েছে।
নিহতের বর্গা চাষী ত্রিশডেবা মার্মা পাড়া এলাকার উমং মার্মা (৩৭) বলেন, গত বুধবার (২৬ জুলাই) মারক মুরুং তার বর্গা জমির খাজনা নিতে ত্রিশডেবা এলাকায় আসেন এবং রাতে থাকেন। ত্রিশডেবা এলাকার ক্যওলাঅং মার্মা (৩০) ও সে তার জমির বর্গা চাষী। বৃহস্পতিবার সকালে চাষা ক্যওলাঅং মার্মা থেকে জমি লাগিয়তের খাজনা ১৯ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় মারক মুরুং এর পিছনে মংচাচিং কে যেতে গয়ালমারা ত্রিপুরা পাড়ার রবার্ট ত্রিপুরা ও গয়ালমারা এলাকার দোকানদার আবুইয়ার মা দেখেন। সে থেকে নিখোঁজ রয়েছে মারক মুরুং।
এদিকে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় নিহতের পরিবার আশপাশের চারদিকে খোঁজাখুজি শুরু করে। শুক্রবার নিহতের পরিবারের লোকজন ত্রিশডেবা পাড়ায় মারক মুরুং এর খোঁজে আসলে জানতে পারে টাকা নিয়ে ফেরত যাওয়ার সময় মংচাচিং মার্মা নিহতের পিছনে যায়। অবশেষে রোববার রাতে তাকে সেনাবহিনী আটক করে লামার ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং সে খুনের দায় স্বীকার করে।
বাকঁখালী হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা ও মৌজা প্রধান (হেডম্যান) থংপ্রে মুরুং বলেন, ধারনা করা হচ্ছে খাজনার ১৯ হাজার টাকার জন্য মারক মুরুং কে হত্যা করেছে মংচাচিং মার্মা।
লামা থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে লামা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান, তমেজ উদ্দিন সহ পুলিশের একটি টিম অভিযুক্ত মংচাচিংকে সাথে নিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধারে দূর্গম ত্রিশডেবা এলাকায় রওনা দিয়েছে। ঘটনাস্থল লামা সদর থেকে ৩০/৩৫ কিলোমিটার দূরে।
পাঠকের মতামত: