মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
আগামী ২মাসের মধ্যে লামা উপজেলাকে মোটর সাইকেল চোর মুক্ত করা হবে। মানুষ রাস্তায় গাড়ি রেখে, বাড়ির প্রধান ফটক ও গ্রিল খুলে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে লামার মানুষ। একান্ত আলাপচারিতা কালে এইসব কথা বলেন, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন।
বিগত কয়েকমাস যাবৎ লামায় বেপরোয়া ভাবে বেড়েছে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা। গত ৬মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ, সাংবাদিক, কোম্পানী, জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও ও ব্যাক্তি মালিকানা মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগীরা জানায়, বাড়ি থেকে গ্রিল ভেঙ্গে, বাজার ঘাট ও অফিস আদালতের সামনে থেকে সুযোগ বুঝে মোটর সাইকেল চুরি করে একটি সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেট। একের পর এক মোটর সাইকেল চুরি করে হজম করায় ও চুরির শাস্তি না হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে চোরেরা। চোরের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জানা যায়, একই সিন্ডিকেটটি ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত। এছাড়া গাড়ি চুরির এই সিন্ডিকেটে পেশাদার চোর, কলেজ স্টুডেন্ট, গাড়ি মেকানিক ও ছাত্র রাজনীতি করে এমন অনেকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
অতিমাত্রায় মোটর সাইকেল চুরি ও একই সিন্ডিকেট কর্তৃক ইয়াবা পাচার বন্ধে আসামী ধরতে শক্ত হাতে মাঠে নেমেছে লামা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে ৫জন গাড়ি চোর কে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাবাদে বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর নানান তথ্য। তবে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাদের অন্যায় হস্থক্ষেপে ও চোরকে সাধু স্বীকৃতি প্রদানে পুলিশের কাজে কিছুটা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানায় চুরি হওয়া মোটর সাইকেল মালিকরা। ধৃতদের সঠিক জিজ্ঞাসাবাদে ও একই ভাবে আইনের প্রয়োগ হলে দু এক মাসের মধ্যে লামাকে গাড়ি চোর মুক্ত করা যাবে বলে মত প্রকাশ করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত: