নিউজ ডেস্ক :: ‘বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ৭৫ ভাগ স্থায়ী শিক্ষক রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এই নতুন আইন করা হচ্ছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে বলেন, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এতদিন দুটি নীতিমালার অধীনে চলত। নীতিমালা দিয়ে সব কিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছিল না, তাই নতুন আইন করা হচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে, ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না।
সচিব জানান, দেশে বর্তমানে ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ২৬টি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৩৬টি আর ডেন্টাল কলেজ রয়েছে একটি। এগুলো একটি নীতিমালার আলোকে চলছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রিজার্ভ ফান্ডে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজগুলোকে দুই কোটি টাকা রাখতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ করতে কমপক্ষে ২ একর জমি এবং অন্য জায়গায় স্থাপন করলে ৪ একর জমি থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যতগুলো শয্যা থাকবে তার ১০ ভাগ দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজে কমপক্ষে ২৫০টি ও ডেন্টালে কমপক্ষে ৫০টি শয্যা থাকতে হবে বলে জানান সচিব।
নতুন আইন অনুযায়ী, কেউ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ খুলতে চাইলে কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী লাগবে। নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকতে হবে। প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক প্রয়োজন হবে। আইন অমান্য করলে দুই বছর কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে। এ ছাড়া অনুমোদন বাতিল করাও হতে পারে।
পাঠকের মতামত: