ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মুক্ত ও স্বাধীন: ইনু

অনলাইন ডেস্ক ::INO

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম উন্মূক্ত, বিকাশমান ও স্বাধীন। এখানে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। ‘গণমাধ্যম ও সরকার একে অপরের নিত্যসংগী’- উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমকে উন্মূক্ত করে দিয়েছেন।

তথ্যমন্ত্রী রোববার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) ‘পিআইবি-সোহেল সামাদ পুরস্কার-২০১৬’ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রধান মন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান।

অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং সোহেল সামাদের পরিবারের সদস্য আদনান সামাদ ও নিলুফা আহমেদ করিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

গণতন্ত্র বিকাশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অর্থ স্বেচ্ছাচারিতা নয়। এর একটা নীতি নৈতিকতা রয়েছে। এর মূল্যবোধ রয়েছে। এর একটা মানবিক দিকও রয়েছে। সাংবাদিকতা পেশার স্বাধীনতার অপব্যাখ্যা দেয়াও এক ধরনের অপরাধ। এখানে সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।’

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দেশের আইন-কানুন মেনে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তাহলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। নতুবা বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, সাংবাদিকদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কখনো সরকার অসন্তুষ্ট হতে পারে। এটা হস্তক্ষেপ নয়। সরকার সবসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকারের সেই মানদন্ড রয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের রেখে যাওয়া জঞ্ছাল পরিস্কার ও জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জঙ্গি দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বর্তমানে জঙ্গিরা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে তারা একেবারে শেষ হয়নি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, দু’বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান রক্ষার্থে ও জনগণের স্বার্থেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে মাখামাখির কিছুই নেই। আপনারা ব্লগার হত্যাকারী, জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা, অর্থদাতা ও আগুনে পুড়িয়ে যারা মানুষ মেরেছে তাদের মুখোশ জনগণের কাছে উন্মোচন করুন।’

তিনি এসব অপরাধীদের মামলার অগগ্রতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকতা পেশাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন,সাংবাদিকদের দায়িত্ব অপরিসীম। তাদের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা তা পূরণে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে।

জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।

এর আগে ‘রক্ত বাণিজ্য’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য বেসরকারী চ্যানেল আরটিভি’র সিনিয়র প্রতিবেদক আরাফাতুর রহমানকে ‘পিআইবি-সোহেল সামাদ পুরস্কার-২০১৬’ ও সনদ প্রদান করা হয়।বাসস

পাঠকের মতামত: