ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটকবাহী এলসিটি জাহাজ কাজল ডুবোচরে আটকা, সার্ভিস ট্রলারে কিছু পর্যটক উদ্ধার

TEKNAF-PICসাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ ::
পর্যটকবাহী এলসিটি কাজল জাহাজটি ডুবোচরে আটকা পড়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৭’শ পযটক রয়েছে বলে জানা গেছে। এ সব পর্যটকদের মধ্যে কিছু কিছু যাত্রী সার্ভিস ট্রলারে সেন্টমার্টিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১১ জানুয়ারী বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আনুমানিক সাড়ে ৭শ পর্যটক নিয়ে টেকনাফ থেকে এলসিটি কাজল জাহাজ সেন্টমাটিনে যাওয়ার পথে জাহাজটি সাগরের নাইক্যংদিয়া এলাকায় ডুবোচরে আটকা পড়ে যায়। অনেক্ষন পরে সেন্টমার্টিন থেকে সার্ভিস ট্রলার পাঠিয়ে জাহাজে থাকা পর্যটকদের মধ্যে কিছু পর্যটককে নিরাপদে সেন্টমার্টিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতি ট্রলারে ৪০-৫০ জন যাত্রী ধারন করা হয়। বিকাল ৫.২৫ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় রেডিও নাফ সেন্টমার্টিন অফিসের প্রতিনিধি মোঃ জয়নাল আবেদীন জানায়, ডুবোচরে আটকানো জাহাজটি জাহাজে থাকা বাকী যাত্রী নিয়ে এইমাত্র পৌছল। সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রব জানান, বুধবার সকালে টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট থেকে পযটক নিয়ে সেন্টমাটিন আসার পথে সাগরের নাক্ষংদিয়া এলাকায় ডুবোচরে জাহাজটি আটকা পড়ে। সাগরে জাহাজ আটকা পড়ার খবর পেয়ে সেন্টমাটিন ট্রলার মালিক সমিতির সার্ভিস ট্রলার পাঠিয়ে কিছু পর্যটকদের নিরাপদে সেন্টমার্টিন নিয়ে আসা হয়েছে। ভাটার কারনে জাহাজটি ডুবোচরে আটকা পড়ে বলে জানায় তিনি। তবে সেন্টমার্টিনে আগত পর্যটকদের বিষয়ে ভালমন্দ খোঁজখবর নেওয়া হচেছ বলেও তিনি জানায়। পর্যটকবাহী জাহাজ এলসিটি কাজল এর ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন খোকা জানান, টেকনাফ জেটি ঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে জাহাজটি সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের নাক্ষংদিয়া ডুবোচরে আটকা পড়ে। এ সময় জাহাজের থাকা কিছু পর্যটকদের সার্ভিস ট্রলারে করে নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌছে দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনের কোস্টগার্ড সাব লে.কমান্ডার আসমাদুলের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, বিকাল ৬.১৫ মিনিটে কাজল জাহাজ যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্যেশ্যে রওনা করবেন। এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, পর্যটকবাহী জাহাজ কাজল সাগরে ডুবোচরে আটকা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে জাহাজে থাকা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং তাদের উদ্ধারে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: