ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দুর্নীতিবাজদের চিহ্নীত করে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হবে -টেকনাফে দুদক কমিশনার

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::
12
টেকনাফে দুর্নীতি দমন কমিশনে কমিশনার (তদন্ত) এ,এফ,এম আমিনুল ইসলাম সততা সংঘের সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বলেছেন- দূদক চার দেওয়ালে বন্ধী না থেকে সারাদেশের দূর্নীতিবাজদের চিহ্নীত করার কাজ হাতে নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল টেকনাফ উপজেলা মিলায়তনে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সততার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। প্রতিটি এলাকায় দূর্নীতির লাগামকে টেনে ধরার জন্য আমরা ঘর থেকে বের হয়েছি। এই টেকনাফ গুটি কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য আজ অভিশপ্ত এলাকা হিসাবে চিহ্নত। দেশ, জাতি ও যুব সমাজকে ধ্বংস করতে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট। তাই আমরা সবাই বিপদগ্রস্ত না হয়ে এবং আগামী প্রজন্মকে মাদক থেকে বাচাঁনোর জন্য এই সমস্ত ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওয়াতাই নিযে আসতে সাহায্য করতে হবে। তার পাশাপাশি বর্তমান যুব সমাজ আজ মাদক সেবনে লিপ্ত। একজন মাদক সেবনকারী একটি পরিবারকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এদের চিহ্নীত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি উদ্দ্যেশ করে বলেন, দেশে দূর্নীতি বন্ধ না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটি বন্ধ করতে পারলেই দেশ উন্নয়নের দিকে আরো এগিয়ে যাবে। ঘুষ শুধু দূর্নীতির অংশ নয়। বিভিন্ন অফিস কর্মকর্তাদের অফিস ফাঁকি, স্কুল শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোচিং বানিজ্য, রোগীরা এসে হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরবে, অথচ ডাক্তার সঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকবে না, এগুলোও দূর্নীতির অংশ। এছাড়াও আরো অনেক পর্যায়ের দূর্নীতি রয়েছে। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে নিজেকে আলোকিত মানুষ হিসাবে রুপান্তরিত করতে হবে। সমাজে আলোকিত মানুষ সৃষ্টি করতে হবে। ভূমি অফিস, পল্লী বিদ্যুতের অনেক কর্মকর্তা অনিয়ম করে যাচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। অফিসের প্রাপ্ত সেবা জানতে সিটিজেন চার্টার ও কর্মকর্তাদের নাম এবং মোবাইলসহ বোর্ডে টাঙ্গানোর পরামর্শ দেন। এই দূর্নীতি কমিশন আসার পর শতকরা ৩৭ থেকে ৫৫ ভাগ মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। মামলাগুলো ক্রুটিমুক্ত তদন্ত কার্যক্রম শেষে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে মামলা অগ্রগতির জন্য আদালতে যাওয়া হয়। যাতে অভিযুক্তরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হতে না পারে। স¤পদ লুকিয়ে রাখা যায়না, তা একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। সুতরাং দূর্নীতি করে কেউ রক্ষা পাবেনা। দুনীতিবাজদের আইনের আওতায় আসতে হবে। তাই সকলকে দূর্নীতি থেকে ফিরে আসার আহবান জানান।

প্রধান অতিথি সততা সংঘের সদস্যদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমরা সৎ পথে থেকে মাদককে না বলুন, বর্তমান যুব সমাজ, আগামী প্রজন্ম এবং এই দেশকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তোমরা আগামী দিনের ভবিৎষত, এই দেশের উন্নয়নে তোমাদের ভুমিকা সব চেয়ে বেশি। তোমরা সততার সাথে দুর্নীতিবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ঘৃনা করে এই দেশের উন্নয়নে আরো সফলতা বয়ে আনার জন্য কাজ করতে হব্ ে

পরে সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সততা সংঘের সদস্যদের দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে শপথ বাক্য পাঠ করান দূর্নীতি কমিশনার। এতে উপস্থিত সকলে অংশ গ্রহন করেন।

গতকাল ৫ মার্চ রোববার সকাল ১০ টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ পাবলিক মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দূর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, পিএসটু কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভুইয়া, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল কুদ্দুছ, টেকনাফ সততা সংঘের সাধারন স¤পাদক সিনিয়র প্রভাষক শফিকুল ইসলাম।

এতে টেকনাফ উপজেলার জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারী কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: