ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

জয়কে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ মার্কিন আদালতে প্রমাণ হয়নি: বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও তাকে দৈহিকভাবে ক্ষতি করার অভিযোগ মার্কিন আদালতে প্রমাণ হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছিল আদালত তাদের এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতিও দিয়েছিল। এ ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মার্কিন আদালতে অভিযোগ, থানায় জিডি এবং মামলার কোথাও তাদের নাম ছিল না। শুধু মাত্র জয়ের একটি ফেসবুক পোস্টের ওপর ভিত্তি করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দাখিল করা মার্কিন সরকারের নথিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে সরকার কোনও কথা বলছে না কেন-এ প্রশ্ন দেশবাসী জানতে চায়। তিনি বলেন, জনগণ জানতে চায়, সন্দেহজনক এই লেনদেনের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের উৎস কী, এই বিপুল অর্থের প্রকৃত মালিক কে? কোনও বিশেষ ব্যক্তি না বাংলাদেশের জনগণ? আমরা আশা করি, সরকার জনগণের এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, রিজভী আহমেদ সিজার প্রকৃতপক্ষে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্ট সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কিছুটা সফলও হয়েছিলেন। এর প্রমাণও আদালতের রায়ে লিপিবদ্ধ আছে।
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, আদালতে জমা দেয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আদালত গ্রহণ না করা সত্ত্বেও শুধু তার ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং সুপরিচিত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হলো, রিমান্ডে নেয়া হলো। ২০১৫ সালের ৪ঠা মার্চ দেয়া রায়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য না পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারক মামলায় অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন এবং জয়কে ‘ভিকটিম’ হিসেবে মানতে রাজি হননি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মানবজমিন

পাঠকের মতামত: