চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ৪৮০ একরের চিংড়ির ঘের দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার দিবাগত রাত ১২ থেকে ভোর পর্যন্ত শতাধিক অস্ত্রধারী মৎস্য ঘেরগুলো দখল করে রাখে। এ সময় ঘেরের মালিকপক্ষ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে একজন ঘের কর্মচারী আহত হন।
মালিকপক্ষে দাবি, ১৫ থেকে ২০টি ঘের থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকার মাছ লুট করা হয়েছে।
পুলিশ, ঘের মালিক ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়ি জোন রামপুর মৌজার ৩০০ একরের গ্রামীণ ব্যাংকের মৎস্য প্রকল্প ও চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ মৌজায় ১৮০ একরের চিরিংগা সমিতির মৎস্য ঘেরে ডাকাতদল হানা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সারা রাত মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ভীতি সৃষ্টি করলে ঘের কর্মচারীদের পালিয়ে যান।
এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘চিংড়ি ঘের দখলের খবর পেয়ে পুলিশের দুটি টিম সেখানে পাঠানো হয়। চরণদ্বীপ ও রামপুরের চিংড়ি জোন এলাকায় নদী পথে সেখানে যাওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।’
কয়েকজন মৎস্য চাষি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সোমবার রাতে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চিরিংগা সমিতির মৎস্য প্রকল্পটি দখল করে। চিংড়ি জোন এলাকার ত্রাস শীর্ষ ডাকাত আব্দুস সালাম, আব্দুস সবুর ও বাহাদুর নেতৃত্বে ঘেরটি দখল করে। রাতভর ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করে।
এ ছাড়া একইদিন রাতে রামপুর গ্রামীণ ব্যাংকের ঘের হিসেবে পরিচিত ৩০০ একর আরেকটি মৎস্য প্রকল্পে ৪৫ থেকে ৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গিয়ে দখল করে। এসব ঘের দখল শেষে আশপাশের কিছু মৎস্য প্রকল্পের কর্মচারীদের মারধর করে অন্তত ১০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে সোমবার রাতে চিংড়ি জোনে দখল নিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণের খবর পেয়েছি। তবে দখলের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
পাঠকের মতামত: