ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুতে হাতির আক্রমণে নিহতদের স্বজনের কাছে চেক বিতরণ

12খালেদ হোসেন টাপু, রামু :::

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল পাহাড়ি অঞ্চলে বন্য হাতির আক্রমণে পৃথকভাবে নিহত দু’পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) কক্সাজার দক্ষিণ বন বিবাগের অধীনে চেক গুলো বিতরণ করেন রামুর ইউ এন ও বেগম সেলিনা কাজী। তিনি তার কার্যালয় থেকে নিহতদের স্বজনদের কাছে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক (রাজারকুল ) মোঃ সোহেল রানা, রাজারকুল ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ আমীর হামজা, নিহত মোঃ হোসেনের প্রতিনিধি মোঃ ইলিয়াছ প্রমুখ। বিতরণ অনুষ্ঠানে নিহত মোঃ হোসেনের স্ত্রী মোস্তাফা বেগম ও মোজাফ্ফর আহমদের স্ত্রী আমীর খাতুন চেক গ্রহন করেন।

উল্লেখ যে, বিগত আড়াই বছর পূর্বে রামু ফতেখাঁরকুল মন্ডল পাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদ সওদাগরের ছেলে ৩ সন্তানের জনক মো হোসেন (৪৭) পার্শ্ববর্তী রাজারকুল থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় পাহাড়ের লাকড়ী সংগ্রহ করতে গেলে হাতির আক্রমণে সে প্রাণ হারায় এবং ঠিক একইভাবে রামু উপজেলার দারিয়ার দীঘির লম্বা ঘোনা এলাকায় হাতির আক্রমণে নিহত হন মোজাফফর আহমদ (৪৫) ।

এদিকে হাতির আক্রমণে মোঃ হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল তৎক্ষানিক মন্ডল পাড়াস্থ নিহতের বাসায় সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়ে ছিলেন। এসময় তিনি ১ লক্ষ টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নিহত মোজাফ্ফর আহমদের পরিবারকেও একইভাবে আর্থিক অনুদানের আশ্বাস দেন তিনি।

রাজারকুল ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ আমীর হামজা জানান, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে রাজাকুল থোয়াইঙ্গাকাটা, দারিয়ার দীঘির লম্বা ঘোনা এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে মো হোসেন (৪৭) ও মোজাফফর আহমদ (৪৫) নিহত হন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের এক লাখ টাকা করে চেক দিয়েছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেগম সেলিনা কাজী জানান, বন্য প্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জানমালের ক্ষতিপূরণ নীতিমালা ২০১০ অনুযায়ী ওই দুই জনকে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা সরকারিভাবে চেক হন্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: