ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গাড়িতে সাংবাদিক-পুলিশ লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ

stikerসাংবাদিক, পুলিশ, সংসদ সদস্য, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাগত পরিচয় সংবলিত ‘আলগা স্টিকার’ ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহনে লাগানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের দমনে আমরা পরিবহনে আলগা স্টিকার লাগানো নিষিদ্ধ করেছি। এখন থেকে কোনও পরিবহনে কোনও ধরনের আলগা স্টিকার থাকবে না। তবে রঙ দিয়ে এঁকে পরিবহনের গায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা যাবে।’

কমিশনার বলেন, ‘দু-একজন মানুষ আইন না মানলে তাদের জোর করে মানানো যায়। তবে অধিকাংশ মানুষ আইন না মানলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য তাদের আইন মেনে চলানো কঠিন হয়ে যায়। আমরা একটি জরিপ করে দেখেছি, ক্ষমতাধর ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উল্টো পথে গাড়ি চালান। এসব বিষয় ভিডিও ফুটেজ ও ছবি তুলে আমরা ওইসব কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে দিয়েছি।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘জরুরি সার্ভিসে থাকা পরিবহনের গাড়িগুলোতে যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করে অনেকে তা তার ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহার করেন। আমরা তাও নিষিদ্ধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়িতে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও বিকন লাইট (ঝিকঝাক লাইট) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যারা এসব ব্যবহার করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সম্প্রতি মোটরসাইকেলে চড়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে নিয়মিত চেকপোস্ট বসাবো। সব ধরনের সন্দেহজনক গাড়ি তল্লাশি করবো। কোনও আরোহীর সঙ্গে ব্যাগ থাকলে সেটিও আমাদের পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন।’

সংসদ সদস্যদের গাড়িতে ব্যবহৃত স্টিকার পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘স্পিকার সংসদ সদস্যেদের গাড়িতে ব্যবহারের জন্য গোলাকার স্টিকার নিষিদ্ধ করে নতুন ত্রিকোণ স্টিকার অনুমোদন দিয়েছেন। সংসদ সদস্য নিজের গাড়িতে ১ সিরিয়ালের স্টিকার, পরিবারের গাড়িতে ২ সিরিয়ালের, সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারি ৩ নম্বর সিরিয়াল, সংসদ সচিবালয়ের জন্য ৪ নম্বর সিরিয়াল এবং ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ৫ সিরিয়ালের স্টিকার ব্যবহার করবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি শহরের আয়াতনের তুলনায় ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকা শহরে মাত্র ৮ শতাংশ রাস্তা রয়েছে। এই সড়কে তিনলাখ যানবাহন চলাচলের কথা থাকলেও চলছে প্রায় তিনগুণেরও বেশি।’

ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে আইন মানার প্রবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আশাব্যঞ্জক বলেও মূল্যায়ন করে কমিশনার।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

পাঠকের মতামত: