ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

চকরিয়ার গরুচোর সিন্ডিকেট প্রধানের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস করলো তাঁরই পিএস কায়েস

বার্তা পরিবেশক ::
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও পাশ্ববর্তী বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু-মহিষ ও ছাগল চুরি বহুল আলোচিত নবী হোসেনের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস করলো তারই ব্যক্তিগত পিএস কায়েস। আজ ২৪ জুন/২১, বৃহস্পতবিার চকরিয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন তিনি।

চকরিয়া উপজেলার সাহাবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের বাসিন্দা ও নবী হোসেনের সাবেক একান্ত পিএস মোহাম্মদ কায়েস আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চকরিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ কর্মকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগী কায়েম।

সাংবাদিক সম্মেলনে কায়েস তার লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, কোরালখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে নবী হোসেন ওরফে নবী চৌধুরী ওরফে নইব্যা একজন পেশাদার গরু-মহিষ চোর ও সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে নবীর নেতৃত্বেই চলে আসছে গরু-মহিষ ছাগল চুরিসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড।

সম্প্রতি নবী হোসেন ওরফে নইব্যার প্রতিপক্ষ স্থানীয় যুবনেতা মো: আলামগীর ও কামাল উদ্দিনকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে ব্যবহার করতে চায় তার পিএস মো: কায়েসকে। কিন্তু কায়েস এতে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে নবী হোসেন ওরফে নইব্যা। এরপর থেকে কায়েস নবীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে চলে আসলেও কায়েসের উপর দিনদিন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে নবী হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো: কায়েস দাবী করেন, ইতোপূর্বে তাকে একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করেছে। সর্বশেষ আজ ২৪ জুন/২১ ইং বৃহস্পতিবার বিকেলে নবীর নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র লোক প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দেশ্যে কায়েসকে স্থানীয় রামপুরস্থ জলদাশপাড়া থেকে তাড়া করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নিয়ে আসে। কায়েস আরও জানান, স্থানীয় মো: হানিফ নামের একব্যক্তি নবী হোসেনের বাড়িতে গরু জবাইয়ের কাজ করতো, নবীর পরিকল্পনায় গত একমাস পূর্বে ওই হানিফকে হত্যা করে উল্টো হানিফের পরিবারের উপর চাপিয়ে দেয় নবী। ২০১৭ সালে সাহারিবল ইউনিয়নের জনৈক ফরহাদও থাকতো নবী হোসেন ওরফে নইব্যার সাথে গরু চুরি করতে গিয়ে পুলিশের সাথে গুলোগুলিতে মারা যায় ওই ফরহাদ।

২০১৮ সালে কোরালখালী গ্রামের জসিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম থাকতো নবী হোসেনের সাথে, গরু চুরি করতে গিয়ে পেকুয়ায় গণপিঠুনির শিকার হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে নবীর ভাই বাদল তাকেও গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে আসে। এতে ঘটস্থলেই মারা যায় জাহাঙ্গীর। নবীর সাবেক এই ব্যক্তিগত সহকারি মো: কায়েস দৃঢ়তার সাথে আরও জানান, নবী হোসেন ওরফে নইব্যাচোরা বর্তমানেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের গরু-মহিষ চোর সিন্ডিকেটের প্রধান।

বর্তমানেও গরুচুরির কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে তথ্য জানান কায়েস। তিনি এ ব্যাপারে নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও নবী হোসেনের অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

পাঠকের মতামত: