ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ পৌর নির্বাচনে ২ মেয়র প্রার্থীসহ ৬ জনের মনোনয়ন বাতিল

election_1-300x160গিয়াস উদ্দিন ভুলু ,  টেকনাফ :::

আসন্ন টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনকে বৈধ ঘোষনা করে দুইজনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন। সেই সাথে ৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষনা করা হয়। এরা হচ্ছে, মেয়র পদে ফারুক বাবুল ও মোহাম্মদ হাশেম ও কাউন্সিলর পদে ২ নং ওয়ার্ডের মো. জকির আলম, ৭ নং ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ, ৮ নং ওয়ার্ডের আবুল আলী ও ৯নং ওয়ার্ডের মো. ইউনুছ।

গতকাল সোমবার টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষদিনে ২ মেয়র প্রার্থীসহ ৬ জনের প্রার্থীতা বাতিল করে। উক্ত পৌরসভায় আগামী ৫মে আপিলের শেষ দিন, ৯মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ১০মে প্রতিক বরাদ্ধ ও ২৫মে নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, টেকনাফ পৌরসভা স্থাপিত হয় ২০০০ সালে সবশের্ষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১১সালের ২৭ জানুয়ারি এবং গেজেট প্রকাশ হয়েছিল একই বছর ২ ফেব্র“য়ারি। শপথ গ্রহণ করেছিল ২০১১সালের ৯ মে। ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল একই বছর ২৯ মে। তার ধারাবাহিকতায় পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে ২৯ মে।

#############

টেকনাফের শ্রমিকরা জানেনা মে দিবস কি !

গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ ::

টেকনাফ উপজেলার দিন মজুর শ্রমিকরা জানেন না মে দিবস কি। কেন এই দিবসটি আর্ন্তজাতিক ভাবে পালন করা হয় এটাও তাদের জানা নেই। কিভাবে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে হয় তাও তাদের জানা নেই। শ্রমিকদের অধিকার স¤পর্কে তারা এখনও রয়েছে অন্ধকারে। কারন টেকনাফের বেশি ভাগ দিন মজুর শ্রমিক হচ্ছে রোহিঙ্গা এই সমস্ত রোহিঙ্গা শ্রমিকদের কারনে টেকনাফ পৌর এলাকায় মে দিবস নিয়ে কোন কর্ম সূচি সহজে চোখে পড়ে না। আর যে সমস্ত স্থানীয় শ্রমিক এখানে রয়েছে তারাও পেতের দায়ে মে দিবস পালন না করে কাজ করতে দেখা যায়। তারা মনে করেন মে দিবস মানে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে দলবত হয়ে মিছিল করা, আর শ্রমিক সংগঠক নেতাদের দেয়া নাস্তা খাওয়া।

টেকনাফ পৌর এলাকার বিভিন্ন ঝুকিপুর্ন কাজে লিপ্ত থাকা বেশ কয়েকজন শ্রমিক আক্ষেপ করে বলেন, মে দিবস পালন করে একটা দিন যদি কাজ না করি তাহলে ছেলে-মেয়েদেরকে উপোষ থাকতে হবে। তাই আমরা মনে করি মে দিবস পালন করা প্রধান কাজ নয়। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক দুই একজন শ্রমিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের জন্য এ দিন পালন করা হয় তারাই জানেনা এর ইতিহাস কিংবা আসল প্রয়োজনীয়তা। টাকা পেলে তাদের কাছে সব দিনেই সমান। এদিকে মহান মে দিবস পালনের নাম করে বছরের পর বছর মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো জমকালো আয়োজনের নামে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। যদিও শ্রম আইনে বলা আছে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, সার্ভিস বই প্রদান, রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, ছুটির রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, ছুটির বই প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটি, ওভারটাইম রেজিস্ট্রার, দৈনিক রেজিস্ট্রার থাকার কথা। কিন্তু টেকনাফ পৌর এলাকার বেশি ভাগ শ্রমিকদের কাছে এই ধরনে কোন নিয়ম কানুন তো দুরের কথা তাদের কাছে শ্রমিক আইনের কোন পরিচয় পত্র নেই।

সরেজমিন গত ১ লা মে টেকনাফ পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা ঘাট, হোটেল রেস্তোরা, ও বিভিন্ন ঝুকিপূর্ন কাজের শ্রমিকদের অবিরাম কাজ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। া

এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলার শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের নব নিবার্চিত চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া বলেন, টেকনাফ উপজেলায় বেশি ভাগ শ্রমিক হচ্ছে রোহিঙ্গা তাই তারা জানে না মে দিবস কি কেন পালন করা হয়। তিনি আরো বলেন আগামী বছর মে দিবস আসার আগে আমরা চেষ্টা করব এবং তাদেরকে মে দিবস সম্পকে অবহিত করে জাকজমক ভাবে মে দিবস উদযাপিত করব। এবং যে সমস্ত শ্রমিকরা অবহেলিত নির্যাতিত হচ্ছে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে যাব।

পাঠকের মতামত: