ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

পহেলা বৈশাখ উৎসব হচ্ছে না এবারও

নিউজ ডেস্ক :: বাঙালীর বৈশাখ আসছে। আর মাত্র দু’দিন পর বাংলা নববর্ষ। করোনাকালে উৎসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ঘিরে আবেগ-উচ্ছ্বাসের কমতি নেই।

সর্বত্রই চলছে বৈশাখের প্রস্তুতি। লোকজ সংস্কৃতির শক্তিতে, প্রতিবাদী চেতনায় ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন স্বপ্ন দেখছে উদার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

বাঙালীর, বলা হয়ে থাকে, বারো মাসে তেরো পার্বণ। স্বাভাবিক সময়ে নানা উৎসব-অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তবে সবচেয়ে বর্ণিল হয় বর্ষবরণ উৎসব। আনন্দঘন এ মুহূর্তটির জন্য অনেক আগে থেকে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে দেখা যায়।

নিজস্ব সংস্কৃতির উৎসবে লোকায়ত জীবনের, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মৌলিক সংস্কৃতির জয়গান করা হয়। সব ধর্মের মানুষ, সব শ্রেণী-পেশা ও বয়সের মানুষ সমান আগ্রহ নিয়ে উৎসবে যোগ দেন। উদার, অসাম্প্রদায়িক মানবিক আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বড় সুযোগ করে দেয় বাংলা নববর্ষ।

তবে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লোকসমাগম এড়িয়ে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ করা হয়েছে। চলছে আরও নানা তৎপরতা।

পহেলা বৈশাখ থেকে এক সপ্তাহের কড়াকড়ি লকডাউনের ঘোষণা এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ বাস্তবতায় বর্ষবরণ উৎসবের খুব চেনা ছবিটা দেখা যাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

একই কারণে শেষতক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছে ছায়ানট। সেই ষাটের দশকে রমনা বটমূলে সূচনা করা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আজ এ দেশের জাতীয় উৎসব।

গত বছর বন্ধ থাকার পর এবার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু শনিবার ছায়ানট সাধারণ সম্পাদক দুঃখ করেই গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। শেষতক পারা গেল না।

 

পাঠকের মতামত: