ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

চকরিয়ায় শাহ ওমর মাজারের খাদেমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্ঠার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলাস্থ কাকারা ইউনিয়নের হযরত শাহ ওমর মাজারের খাদেম মৌলভী ইদ্রিসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ওসমান সরওয়ার নামের এক ব্যক্তিকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ২নভেম্বর দুপুরে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাকারা ৫নম্বর ওয়ার্ডের খাদেম পাড়া এলাকার মৃত বদরুচ ছমদের ছেলে

ওসমান সরওয়ার বাদী হয়ে নালিশী অভিযোগ করলে তা আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করে। পরে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

নালিশী মামলার আসামীরা হলেন, কাকারা ইউনিয়নের খাদেম পাড়া এলাকার মাজার শরীফের খাদেম মৌলভী মোহাম্মদ ইদ্রিস, তার ভাই মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোজাম্মেল হক।

এজাহারে বাদী ওসমান সরওয়ার দাবী করেছেন, তার পিতা মরহুম বদরুচ ছমদ দীর্ঘদিন ধরে শাহ ওমর মাজারের খাদেম হিসেবে দীর্ঘকাল যাবত মাজারের রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করে আসছিল। বিগত ১৯৮৭ সালের ১৪মে তার পিতা মৃত্যু বরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকার সূত্রে মৌলভী ইদ্রিসসহ তাহার ৫ভাই খাদেম হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করিয়া আসছে।

মামলায় অভিযুক্তরা কয়েক বছর ধরে মাজারের হিসাব নিকাশ ও দায় দায়িত্ব পালন করে আসলেও পরবর্তী লোভের বশবর্তী হইয়া বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এরই আলোকে ২০১৬ সালে কাকারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কসাই পাড়ার আমির হোসেনের পুত্র রুহুল কাদের নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় দায়ে মাজারের খাদেম মৌলভী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে জি.আর ৩২৩/২০১৬ দায়ের করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাজারের বালু উত্তোলনের কারণে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০এর (চ) ধারায় অপরাধে মোবাইল কোর্ট মামলা নং ০১/২০২০ দায়ের করা হয়।

অভিযুক্ত মাজারের খাদেম ইদ্রিস ও অপরাপর অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজসে মাজারের জিয়ারতের টাকা তছরুপসহ মাজারের পুকুর, পুকুরের মাছ, গাছপালা, জমির ফসল অন্যায় ভাবে আত্মসাত করিতে থাকে। তাদের এহেন অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে আমাকে মারিবে, কাটিবে ও অপমান অপদস্থ করবে মর্মে হাকাবাকা করে হুমকি দেন।

মামলার এজাহারে তিনি আরো বলেন, গত ২৯অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় মাজারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের জন্য মাজারে গেলে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। এসময় তার কাছ থেকে মাজারে জিয়ারতের বিভিন্ন লোকের প্রদত্ত একলক্ষ পাঁচ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায় বলে দাবী করেছেন মামলার বাদী। ওইসময় তার শোর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, আদালত থেকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মুজিবুর রহমানকে বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের জন্য দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: