ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে এক মাসের কারফিউ চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসার জন্য মানুষ এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছে। কিন্তু চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে এখন মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এই অঞ্চেলর মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে অবিলম্বে চট্টগ্রামকে ‘রেড জোন’ এর আওতায় এনে লকডাউন ঘোষণা করে একমাস কারফিউ জারী করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতারা।

আজ রবিবার নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা করোনায় ভঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিরসন করে বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীকে পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করতে ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবনাগুলো হলো- চট্টগ্রামের একমাত্র সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কভিড হাসপাতালে উন্নীত করে মেডিক্যালের মাঠে একটি আধুনিক ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা। চট্টগ্রামের ৬টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোকে দ্রুত কভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা। চট্টগ্রামের বন্দর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল ও কর্পোরেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতালকে পরিপূর্ণ কভিড হাসপাতাল হিসেবে অতিদ্রুত করোনা চিকিৎসার উপযোগী করে তোলা। যেসব বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে আইসিইউ সুবিধা আছে সেগুলো সরকার অধিগ্রহণ করে করোনা চিকিৎসার সুবিধার্থে ক্লিনিক মালিকদের সাথে বসে ডাক্তার ও কর্মচারীদের উপযুক্ত সম্মানী বাবদ মাসিক বাজেট প্রদান করার দাবি জানান।

এ ছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধ করতে আঞ্চলিকভাবে ‘চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স’ গঠন করে রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতিবীদ, পেশাজীবী, সেবাপ্রদানকারী সংস্থার প্রধান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে সমন্বয় করার পরামর্শ দেন বিএনপি নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: