ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চলমান করোনা প্রতিরোধে ঈদগাঁওর মার্কেট বন্ধে ফেইজবুকে তোলপাড়

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও ::  চলমান করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এবার দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে সকল মার্কেট বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সচেতনতা সরুপ তোলপাড় সৃষ্টি করে তুলে ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা। দেখা যায়,সাম্প্রতিক সময়ে আসন্ন ঈদের কেনাকাটার সুবাদে প্রধান কাপড়ের গলিসহ বিভিন্ন মার্কেট খুলছেন। কেউবা দোকানের অর্ধেক অংশ খুলে ছে আর কেউ পুরোটাই খুলে বসেছে। আসছে ঈদ কেনাকাটা করতে বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাড়া মহল্লার ক্রেতারা। তাদের দমিয়ে রাখতে পার ছেনা কেউ। করোনা বিষয়ে গ্রামীন জনপদের অধিকাংশ লোকজনই অজ্ঞ। কেননা যেখানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাবিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে পাড়ার নারী-পুরুষরা ঈদের কেনাকাটায় মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সে সাথে অজ্ঞতার পরিচয় দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করে যাচ্ছে। যার কারনে বাজারের যত্রতত্র স্থানজুড়ে জনসমাগম বৃদ্বি পাচ্ছে। দুরত্বের বিষয়টিও মানা হচ্ছেনা। বর্তমানে ঈদগাঁও বাজারে নারী-পুরুষ রমরমা অবস্থা বললে চলে। এতে করে,করোনা আতংকের মাঝে রয়েছেন বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসী।
তবে সচেতন লোকজনের মতে,ঈদগাঁও বাজারে আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জোরদাবী। অন্যথায় মহামারী এই ভাইরাস প্রতি রোধ কোনভাবেই সম্ভব নয়।

অন্যদিকে ফেইজবুকে ঈদগাঁও বাজারে মার্কেট বন্ধে নানাজন বিভিন্নভাবে মন্তব্য করেছেন। তৎমধ্যে-
বৃহত্তর ঈদগাঁও ব্লাড ডোনারস সোসাইটির মডা রেটর আরাফাত সানী লিখেছেন- ডুলাহাজারা রামুর মধ্য ঈদগাহ,ঈদগাহবাসী সর্তক থাকুন, নতুন জামা পরবেন নাকি, কাপনের কাপড় পর বেন,সিদ্বান্ত আপনার।
সাবেক যুবনেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী হুমু ও আ,লীগ নেতা শাহীন লিখেছেন, কক্সবাজারে ঈদ উপলক্ষে মার্কেট খুলবেন না। ঈদগাঁও বাজারেও এমন সিদ্বান্ত চাই, বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ।
ইসলামাবাদ ছাত্রলীগের সভাপতি আশফাক উদ্দিন আরাফাত লিখেন, আমাদের ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী!!! তারা মার্কেটও খুলবে,ব্যবসাও করবে,সাথে করোনার চাষও করবে।

সাধারন লোকজনের মতে, উদ্বর্তন কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ চাইলে বাজারের আওতা ভুক্ত মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে বসে করোনা প্রতিরোধে দোকান বন্ধের বিষয়ে সিদ্বান্ত নিতে পারে।

তবে বাজার কমিটির সভাপতি শাহনেওয়াজ মিন্টুর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: