ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

চকরিয়া চোঁয়ারফাড়িতে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের হিড়িক করোনা সুযোগে

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব মোকাবেলায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তর মাঠ তদারকিতে ব্যস্ত রয়েছে। এই সুযোগে চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোঁয়ারফাড়ি এলাকায় একটি চক্র বিনা বাঁধায় সরকারি অধিগ্রহনকৃত জমি দখলে নিয়ে সেখানে নির্মাণ করে চলছে বাণিজ্যিক মার্কেট। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে চোঁয়ারফাড়ি ও আশপাশ এলাকার অন্তত একশত ফুট সড়ক বিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে মার্কেট নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।

স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, করোনা সংক্রমণের প্রভাব থেকে সর্বসাধারণকে নিরাপদে রাখতে সরকারি নির্দেশনার আলোকে উপজেলাজুড়েগ মাঠ তদারকি করছেন উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট। বিশেষ করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে ব্যস্ত থাকার সুযোগে স্থানীয় আবুল কাশেম, মোজাহেরুল ইসলাম, জালাল আহমদ, গোলাল আহমদ, ছোটন, দুলাল, মোস্তাফাসহ ১০-১২ জনের একটি চক্র বদরখালী সড়কের চোঁয়ারফাড়ি ও আশপাশ এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহনকৃত সড়কের দুইপাশের জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।

এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন, জড়িত চক্রটি সড়কের পাশে সরকারি অধিগ্রহৃনকৃত জমি দখলের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে অনেকের ব্যক্তিগত জমিও দখলে নিচ্ছে। চক্রটি ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে স্থানীয় কোরাখালী এলাকার শাহআলম ও ফরিদুল আলম নামের দুই ভাইয়ের বেশ কিছু জমি। দখলের চেষ্ঠা চালাচ্ছে আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলাম ও পাশের মনজুর আলমের জমি।

এদিকে করোনা সংক্রমণ সময়ে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে সরকারি জমি দখলে নিয়ে ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত থাকার ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের দেখা দিয়েছে।

বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি সরকারি সম্পদ রক্ষায় জড়িত ভুমিদুস্য চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও চকরিয়া থানার ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিষয়টি প্রসঙ্গে অবহিত করা হলে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন বলেন, সরকারি জমি এভাবে দখলে নিয়ে মার্কেট করার সুযোগ নেই। তবে কেউ সরকারি জমি দখল করে থাকলে অবশ্যই ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।

পাঠকের মতামত: