ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

তবু গরু জবাই! জেলায় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা

ইমাম খাইর, কক্সবাজার :: পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে গরু জবাই না করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মানে নি অনেকেই।কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গরু জবাই করা হয়েছে বলে খবর এসেছে। প্রশাসনের চোখ এড়াতে অনেকে রাতের বেলায় কাজ সেরে ফেলেছে।

তবে, কক্সবাজার শহরের প্রধান বাজার ‘বড়বাজারে’ প্রতিদিন গরু জবাই করলেও আজকে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় নি। সেখানকার চিরচেনা গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা (কসাই) গল্পগুজবে অলস সময় কাটাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায়, নতুন বাহারছড়া, বিমানবন্দর এলাকা, নতুন জেলখানা, পাহাড়তলী, কলাতলী, খরুলিয়া নুর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজার, উখিয়ার মরিচ্যা, ঈদগাঁও, খুটাখালীসহ অনেক জায়গায় গরু জবাই করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বেচাকেনাও হয়েছে।

চকরিয়ার ব্যাসায়ী আবদুল করিম জানান, শবে বরাতে গরু জবাই না করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে চকরিয়া সদরের কাচাবাজারে গরু জবাই করে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের ওইদিকে নজর নেই বরলেও চলে। এছাড়া পাড়া মহল্লায় ঘটা করে গরু মহিষ জরাই করে ভাগভাটোয়ারা করে নিতে দেখা গেছে অনেক জায়গায়।

শহরের বাহারছড়ার এক বাসিন্দা জানিয়েছে, শবে বরাতে গরু জবাই না করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে বাহারছরা মসজিদের দক্ষিণ পাশে হান্নান এপার্টমেন্টের ভেতরে গরু জবাই করা হয়েছে। চলেছে ভাগ-বাটোয়ারার জমজমাট আসর।

উখিয়ায় মরিচ্যায় কসাইদের বাড়ি বাড়ি দীর্ঘ লাইন দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদকর্মী এ এইচ সেলিম উল্লাহ।

পিএমখালী থেকে এম আই চৌধুরী জানিয়েছেন, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজারে পাঁচটি গরু জবাই হয়েছে। বিক্রিও ভালো হয়েছে।

খরুলিয়ার চিত্র একটি বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল।

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাসষ্টেশনে গরুর মাংস বেচা কেনার দৃশ্য
হানা বাবুলের বাড়িতে (মোকতারকুল জামে মসজিদের সামনে) সফর মিয়া ও মোকতার নামে দুই ব্যক্তি গরু জবাই করেছে।

উখিয়া থেকে আব্দুল্লাহ আল আজিজ, ইনানী থেকে আব্দুল হামিদ খান, ঈদগাঁও থেকে নুরুল হুদা, খুরুশকুল থেকে মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীনসহ অনেকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, গত রাতে এবং আজ সকালে প্রচুর পরিমাণ গরু জবাই হয়েছে।

প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা।

পাঠকের মতামত: