ঢাকা,শনিবার, ১১ মে ২০২৪

পাড়ায় পাড়ায় ব্রিগেড গড়ে তুলব : লাকি

lakiঅনলাইন ডেস্ক :::

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীর অংশগ্রহণ সমান। অথচ সেই দেশেই নারীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অংশ নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আর এমনটি চলতে থাকলে সমাজের অগ্রগতি হবে না। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে পাড়ায় পাড়ায় ব্রিগেড গড়ে তুলব। সারা দেশের ছাত্র সমাজকে একত্রিত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও প্রীতিলতা ব্রিগেডের আহ্বায়ক লাকী আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এসব কথা বলেন। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বলেন, তনু হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা পাহাড় ও সমতলে ঘটে যাওয়া অন্য নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোরও প্রতিবাদ করছি। অন্য সব খুনি-ধর্ষকদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, তনু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সোমবার সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মঘট পালন করেছি। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের একজন কর্মী ও প্রীতিলতা ব্রিগেডের পক্ষ থেকেও আমরা বিভিন্ন প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। লাকী আক্তার বলেন, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে আগামী শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীদের আত্মরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালন করছি। এরই মধ্যে তনু হত্যার প্রতিবাদে আমরা প্রীতিলতা ব্রিগেডের সদস্যরা দেশব্যাপী লাঠি মিছিল করেছি। ছাত্র ইউনিয়নের এই নেত্রী বলেন, ছাত্রদের ইস্যুতে এবং তাদের অধিকার বাস্তবায়নে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। গত পয়লা বৈশাখে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী আন্দোলন করেছি।

এ ছাড়া শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করেছি। ছাত্র ইউনিয়নের সফল আন্দোলনগুলোর মধ্যে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ একটি। এর পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটিতে থেকে সুন্দরবন রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমরা দেশবিরোধী সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং ছাত্র স্বার্থ রক্ষা করার আন্দোলন করছি। একই সঙ্গে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আদায় আন্দোলন বেগমান করার লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছি। লাকীর মতে, বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের চেতনা আরও উন্নত করতে হবে। তাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দুই দলের সংঘাতের মধ্যে নিজেদের চিন্তা-চেতনাকে সীমাবদ্ধ না রেখে নতুন বিকল্প শক্তির কথা ভাবতে হবে।

 

পাঠকের মতামত: