ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চাঙ্গা পর্যটন ব্যবসা কক্সবাজারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
২০১৯ সালকে বিদায় ও ২০২০ সালকে বরণ করে নিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ভিড় করছেন দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। ইতোমধ্যে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট। এতে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায় ফিরেছে চাঙ্গাভাব।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর অনুকুল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বত্র। এখানকার চারশ’র বেশি হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রিসোর্টগুলো এখন পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ। এতে সব ব্যবসা এখন চাঙ্গা। বিশেষ করে আবাসিক হোটেল ছাড়াও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বেশ সরগরম।
মাংশ সরবরাহকারী আবদুর রহিম জানিয়েছেন, ৬ বছর পরে চলতি মৌসুমে ব্যবসা বেশ চাঙ্গা হয়েছে। বীচে বাড়তি কোন আয়োজন না থাকলেও পর্যটকদের আগ্রহ আগের যেকোন বছরের চেয়ে বেশী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেলে মোটা অংকের টাকা আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে। তাদের ব্যবসা না হলে টাকা ফেরত পেতে সমস্যা হয়। বিগত সময়ে বিনিয়োগ করা অনেক টাকা আমরা এখনো ফেরত পাইনি। পর্যটক কম হওয়ায় ব্যবসায় লোকসান গেলে সংশ্লিষ্টদের টাকা পরিশোধ করাও সম্ভব হয় না। বর্তমানে নগদ টাকায় কোন ব্যবসা নেই। এক মাস মাংশ সরবরাহ করার পর টাকা দেয়। আমি শুধুমাত্র ছাগলের মাংশ সরবরাহ করি। সরবরাহে যাতে বিঘ্ন না হয় তাই অনেক ছাগল ইতোমধ্যে ক্রয় করে রেখেছি।
গরুর মাংস ব্যবসায়ি নাছির উদ্দিন জানান, আমরা শুধু আবাসিক হোটেলের রেস্টুরেন্টে মাংস সরবরাহ করি। গত ৪ দিন থেকে প্রতিদিন ৫টি তারকা হোটেলে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাংস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। চলতি মৌসুমে পরিস্থিত খুব ভাল। তাই আমরা ব্যবসা নিয়ে আশাবাদী।
বীচে ঝালমুড়ি ব্যবসায়ি মহাজের পাড়ার খোকন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর লাভের মুখ দেখেছি। আমরা এই সময়ের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করলেও প্রতি বছরই আমরা হতাশ হয়েছি। এবার পরিবেশ পরিস্থিতি বেশ ভাল।
শুধু হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ কিংবা রিসোর্ট নয়। জমজমাট ব্যবসা সৈকত এলাকার বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় এখানে। বিশেষ করে বার্মিজ আচার, বাদাম, শামুক-ঝিনুকের ঘর সাজানোর উপকরণ এবং শুটকিসহ নানা পণ্যের কেনাবেচায় সরগরম দোকানগুলো।
হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতা আবুল কাসেম সিকদার বলেন মৌসুম ভালমতই শুরু হয়েছে। আমরা পর্যটক যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেই বেশী নজর দিচ্ছি।

পাঠকের মতামত: