ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায়  ফের  প্রকাশ্যে পাহাড় কর্তন  ও মাটি  ভরাট বাড়ছে,  নিরব বন বিভাগ 

নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া ::   উখিয়ায় চলছে নির্বিচারে ফের পাহাড় কাটা চরম আকারে বেড়ে ।  চারদিকে শুধু পাহাড় কর্তন ও জায়গায় মাটি ভরাট।  সরকারি আইনকে অমান্য করে সংঘবদ্ধ মাটি  খেকো সিন্ডিকেট চক্র পাহাড়ের মাটি অবৈধ ভাবে কেটে ট্রাক ডাম্পার   ও পিকআপ যোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে।

 বন বিভাগের পাহাড় কর্তনের ফলে   পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।

 খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।  দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে  ভরাট কাজে মাটি  যোগান দিচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন জালিয়াপালং বন বিটের অধীনে দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া ও জুম্মা পাড়ায়  সরকারি বনভূমি এবং পাহাড় কর্তন করে প্রতিদিন মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। অভিযোগে প্রকাশ স্থানীয় বন বিভাগকে  মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সংরক্ষিত   এলাকা হতে ট্রাক-পিকআপ ও ডাম্পার ভর্তি করে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি পাচার করা হচ্ছে। অভিযোগে প্রকাশ, জালিয়া পালং বিট  ফরেষ্টার   জলিলুর রহমানকে প্রতি গাড়ি পিছু নগদ টাকা দিয়ে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন ও মাটি পাচার করা  হচ্ছে।

 প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান উপজেলা প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপ থাকায় মাটি খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা রাতের বেলায় মাটি পাচার শুরু করেছে। ট্রাক  ডাম্পার ও পিকআপ যোগে মাটি ভর্তি করে কোট বাজার, মরিচ্যা, রত্নাপালং, রুমমা বাজার সহ  ইত্যাদি জায়গায় পাচার করে  লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সরকারি বনভূমি হতে পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি একের পর  এক পাহাড়  কর্তন করেই যা।    বর্তমানে  এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বন বিভাগ নামের কোন ডিপার্টমেন্ট  নেই।

বর্তমানে দক্ষিণ পানাসিয়া ও জুম্মা পাড়ায় পাহাড় কাটার ধুম পড়েছে। প্রকাশ্যে অবৈধ পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখলেও বন বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অনেকের অভিমত।

 এ ব্যাপারে ইনানী  রেঞ্জ   কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন জানান ইতিমধ্যে পাহাড় কাটার অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জড়িতদের কে  গ্রেপ্তারসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ,  পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন এবং মাটি পাচার বন্ধের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: