ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে -শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক ::  বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মোশতাক-জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন কোনো দিন এ দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে, দেশের উন্নয়ন আর যেন বাধাগ্রস্ত না হয়- সে দায়িত্বটা বাংলাদেশের জনগণকে নিতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে নিতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে বার বার মীরজাফরদের জন্ম হয়েছে এবং তারা দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। কিন্তু পারেনি। এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যারা বিশ্বাস করে তারাই জয়ী হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভার আয়োজন করে।

একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের জন্য বুদ্ধিজীবীরা জীবন দিয়ে গেছেন, তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি নামটাও তো মুছে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সেটা তো মুছে ফেলতে পারেনি। কারণ আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায় না। কখনো বৃথা যায় নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটাই স্বপ্ন ছিল। সেটা হলো দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের একজন মানুষও যেন খাদ্যে কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর কালো মেঘের ছায়া ছিল। সে মেঘ কেটে গেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, হত্যা, খুন, সন্ত্রাস আর লুটপাট করেছে তাদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছেন জিয়া। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা পালিয়েছিল তাদের ধরে এনে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। তাদের গাড়িতে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন। ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদকে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাব মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

পাঠকের মতামত: