ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

চকরিয়ায় বন বিভাগের অভিযান: থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::

উচ্চতর আদালতের আদেশ অমান্য করে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। বন বিভাগের টুকিটাকি অভিযানে আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ছে জড়িতরা।

মঙ্গলবার ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় বালুর গাড়ি চলাচল সড়কে গাছ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বালুর ডাম্পার চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

খবর নিয়ে জানা গেছে, ইতিপূর্বে বালু উত্তোলনে খাল ও আবাদি জমির ভাঙ্গনসহ পরিবেশের ক্ষতি হবে জানিয়ে স্থানীয় মেম্বার আনুয়ার হোসেন হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বালু মহাল ইজারা না দিতে নির্দেশনা জারি করে মহামান্য আদালত। নির্দেশনার একটি কপি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠানো হয়। ফলে বন্ধ থাকে বালু মহাল ইজারা।

ইজারা বন্ধ থাকলেও কাউকে নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে ২০-৩০ জনের প্রভাবশালী দুটি সিন্ডিকেট কয়েক ডজন সেলু মেশিন বসিয়ে ১৪২৪ ও চলতি ১৪২৫ বাংলা সনেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে খালসহ আবাদি জমি ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি বালুর বিপরীতে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে রাশেদুল ইসলাম মিন্টু নামের এক বালু ব্যাবসায়ীকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়। ওই অভিযানে বালু বহণে নিয়োজিত ৬টি ট্রাক জব্দ করে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

এটিই ছিল অবৈধ বালু বহালটির বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযান। এর আগে বন বিভাগের অভিযানে অর্ধ ডজনাধিক অবৈধ সেলু মেশিন জব্দ করা হয়। বর্তমানে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের গতি।

এ ব্যাপারে ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা দুর্দান্ত সন্ত্রাসী প্রকৃতির। বিটে পর্যাপ্ত ফোর্স না থাকায় বনভূমি থেকে তাদের স্থায়ী দমানো যাচ্ছে না। তারপরও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া বলেন, বনভূমি থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবেনা। অভিযানের মাধ্যমে এসব বালু উত্তোলন স্থায়ী বন্ধ করা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: