ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার কৈয়ারবিলে দীর্ঘ ৪০ বছরের ভোগ দলীয় বসত বাড়ি-দোকানঘর  গুড়িয়ে দিয়েছে দৃবৃর্ত্তরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকায় ভুমিদস্যুদের অব্যাহত তান্ডব চালিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ভোগ দলীয় বসত বাড়ি, ঘেরা-বেড়া গুড়িয়ে দিয়ে রোপিত গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে চকরিয়া আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের গত ১৫ অক্টোর বিকাল থেকে আজ রোববার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই প্রভাবশালীরা ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ভূক্তভোগি পরিবারে পক্ষে কফিল উদ্দিন অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগি মো : কফিল উদ্দিন আরো জানিয়েছেন, তার পিতা হাজী গোলাম কাদের দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বসত ভিটা নির্মাণ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে এক খন্ড জমি ভোগদখলে রয়েছেন। তাদের বসত ভিটার জমির মধ্যে কৈয়ারবিল মৌজার বিএস খতিয়ান নং-২০৫৬ ও বিএস দাগ নং-১৯৯২ এর ৬শতক জমি কাজগপত্র অপুর্ণাঙ্গ থাকায় জমির প্রকৃত মালিক সামশুল হুদা চৌধুরী ও ইমরুল আলম চৌধুরীর কাছ থেকে ২০১৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী রেজিষ্ট্রেরী মূলে ৬শতক জমি কফিল উদ্দিন, রাসেল উদ্দিন ও নাজেম উদ্দিনের নামে ক্রয় করে দখল বুঝিয়ে নেন এবং আজ পর্যন্ত ভোগদখলে থাকিয়া শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে।
কফিল উদ্দিন আরো জানান. স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শহীদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে তার পুত্র আসফাকুর রহমান রুবেল, জুয়েল, আফজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, তহিদুল ইসলামসহ আরো ভাড়াটিয়া লোকজন অবৈধ ভাবে বসত ভিটার স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে মালামাল গুলো সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা থাকার কারণে দখলে বাধা দিতে সাহস না পেয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আদালত এ ব্যাপারে চকরিয়া থানাকে তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় তাদের কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
ভূমিদস্যুরা অব্যাহত বসতভিটার প্রয়োজনীয় স্থাপনা ভাংচুর ও হুমকি ধমকিতে ভূক্তভোগি কফিল উদ্দিনের পরিবারের বৃদ্ধ নারী পুরুষ ও কঁচিকাচা ছেলে-মেয়েরা চরম নিরপত্তাহীনতায় রয়েছে।
এব্যাপারে ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: