ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ইসলামাবাদে কবরস্থানের জায়গার জাল খতিয়ান সৃজন করে অধিগ্রহণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁহ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদের ঐতিহ্যবাহী ইউছুপেরখিল কবরস্থানের জায়গার জাল খতিয়ান সৃজন করে রেলওয়ের অধিগ্রহণ টাকা আত্মসাত চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ শাখা কক্সবাজারে দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ঈদগাঁও মৌজার বিএস ১ নং খতিয়ানের,বিএস ৭৬০ নং দাগের ৯২ একর জায়গা কবরস্থান শ্রেণী হিসেবে রেকর্ড রয়েছে যুগযুগ ধরে । অধিগ্রহণে যার রোয়েদাদ নং ০১। কবরস্থান সংরক্ষণ কমিটির নেতা উক্ত এলাকার মৃত হাজী ছৈয়দ নুরের ছেলে লুতফুর রহমান বাদি হয়ে কক্সবাজার এলএ শাখায় বিগত ১৪ অক্টোবর তারিখে দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, একই এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোক্তার আহমদ জায়গার প্রকৃত চিত্র ও তথ্য গোপন করে উক্ত জায়গাটি তার অনুকুলে বন্দোবস্তি নেয়। এ ঘটনা জানতে পেরে কবরস্থান কতৃপক্ষ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট আদালতে একাধিক মামলা ও অভিযোগ দায়ের করে।যা ঈদগাঁও ভুমি অফিস কর্মকর্তাসহ তদন্তের দায়ীত্বপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রাপ্ত তথ্যমতে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে। কবরস্থান পক্ষের দাবি, উক্ত জায়গা রেলওয়ের অধিগ্রহণ আওতায় পড়াতে লোভি মোক্তার আহমদ অধিগ্রহণ টাকা আত্মসাতে মরিয়া হয়ে উঠে। তার এ অনৈতিক মিশন বাস্তবায়ন করতে কতিপয় অসাধু চক্রের আশ্রয় নেয় । মোটা অংকের টাকায় অবৈধ পথে কতিপয় কর্মকর্তাকে বশে এনে আদালতে চলমান মামলা ও অভিযোগেের তোয়াক্কা না করে জাল খতিয়ান সৃজন করে। যার নাম জারি জমা ভাগ খতিয়ান নং ১১১৬৭। এমনকি এ জালিয়াতির ঘটনা তড়িঘড়ি করে বাস্তবায়ন করতে চক্রটি সরকারের এক পদস্থ কর্মকর্তার নামও বেবহার করে। বলে কবরস্থান কমিটির নেতা করে কবরস্থান ও মসজিদ সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম জানান,ঐ জায়গার চার পাশে তার জায়গা রয়েছে।জায়গাটি কবরস্থান হিসেবে রেকর্ড ছিল। এখন কিভাবে মাক্তারের নামে খতিয়ান হল জানিনা । এতে কবরস্থান কমিটির নেতা লুতফুর রহমান কোন উপায় না দেখে ধর্মীয় এ কবরস্থানের নামে রেকর্ডিিয় অধিগ্রহণকৃত জায়গার টাকা যাতে এ ভূমি লোভি উত্তোলন করতে না পারে এবং কবরস্থান কতৃপক্ষ যথাযথ পন্থায় এ টাকা পেতে পারে এর বিষয়ে বেবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে মেম্বার দিদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান,মোক্তার আহমদ প্রকাশ চিতা মোক্তার একজন চিহ্নিত ভূমি লোভি।সে আদালতের চলমান মামলা এবং জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের দেয়া আদেশের তথ্য গোপন করে উক্ত জায়গার অধিগ্রহণের মোটা অংকের টাকা এ জাল খতিয়ানের মাধ্যমে আত্ম সাতের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।সে এ জাল খতিয়ান সৃজন ও অধিগ্রহণ টাকা উত্তোলন মিশনে স্থানীয় নুরুল আজিম নামের এক প্রতারককে বেবহার করছে।এ প্রতারক নুরুল আজিম নিজেকে সরকারের উচ্ছ পদস্থ এক সচিবের আত্মীয় নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি অফিসের চোখে ধুলো দিয়ে লাল খতিয়ান সৃজনের পর এবার এলএ শাখা কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করে টাকা উত্তোলনের গভীর পায়তারা করে চলছে।তাই ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা মৃত্যু পরবর্তী একমাত্র ঠিকানা কবরস্থানকে এ চক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জেসমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে শ্রেণী পরিবর্তন হওয়ায় ভিন্ন শ্রেণীতে খতিয়ান সৃজন হয়েছে।অভিযুক্ত মোক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা ক’রেও মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: