ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

যে বাড়িতে পালিয়ে ছিলেন সম্রাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা ::  যুবলীগের আটক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের যে বাড়িটিতে লুকিয়ে ছিলেন তা স্থানীয় এক জামায়াত নেতার। আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অবস্থিত বাড়িটির মালিক মনির চৌধুরী। তিনি পরিবহণ ব্যবসার সাথেও যুক্ত। ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরের এ বাড়িতে সম্রাট ৩/৪দিন আগে অবস্থান নেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। শনিবার মধ্যরাতে র‍্যাবের টিম সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে এ বাড়ি থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, আলোচিত বাড়িটি জামায়াত নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মনির চৌধুরীর। আনুমানিক তিনমাস আগে দোতলা বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। চৌদ্দগ্রামে বাড়ি হলেও মনির চৌধুরী বেশিরভাগ সময় থাকেন ফেনীতে। বাড়িতে যাতায়াত কম। তবে গত কয়েকদিন ধরে তাকে নতুন বাড়ির আশেপাশে দেখা গেছে। শনিবার সন্ধ্যায়ও মনির চৌধুরীকে বাড়িতে দেখা গেছে। দোতলা বাড়িটির মূলফটক সব সময় বন্ধ থাকে। পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করা যায়। ঘটনার পর মনির চৌধুরীকে এলাকায় দেখা যায়নি। উৎসুক লোকজন বাড়িটি দেখতে ভীড় করছেন।

প্রতিবেশি এমরান হোসেইন বলেন, ‘মনির চৌধুরী ফেনীতে ব্যবসা করেন এবং সেখানেই থাকেন। তিনমাস আগে নতুন এ বিল্ডিংটি নির্মাণ করা হয়। এখানে তার বৃদ্ধ মা ছাড়া কেউ থাকতেন না। সম্প্রতি তিনি ঘনঘন বাড়িতে এসেছেন। প্রায়ই গাড়িতে করে নতুন মেহমান নিয়ে বাড়িতে আসছিলেন।’

আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম ফারুক বলেন, ‘যে বাড়িটি থেকে সম্রাট ধরা পড়েছেন সেটি স্টার লাইন পরিবহনের পরিচালক মনির চৌধুরীর। মনির চৌধুরী এক সময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করেছেন। পরে জামায়াতের সাথে জড়িত।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শুনেছি চৌদ্দগ্রামের একটি বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাবের এ অভিযানের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানি না।’

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘সম্রাটকে আটক কিংবা অভিযানের বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে আগাম তথ্য ছিল না।’

পাঠকের মতামত: