ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসবে ৪৬টি পূঁজা মন্ডপে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা, অনুদানের চেক বিতরণ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  আগামী ৩ অক্টেবর শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব। আর উৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চলছে সাজ সাজ রব। দূর্গোৎসব যাতে সুষ্ট, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আসন্ন দুর্গাপুজা উপলক্ষে সোমবার সকালে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভা সকল ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারন সম্পাদকবৃন্দ। সভায় চকরিয়া পৌরসভা সকল মন্ডপে জন্য আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্শেদ, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর আন্জুমান আরা, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দাশ, সাধারন সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, চকরিয়া পৌরসভা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি টিটু বসাক ও সাধারন সম্পাদক নিলু দাশ। উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পুজা কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদক।

চকরিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ জানান, এবার চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪৬টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা পূজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। গতবছর ৪৪টি মন্ডপে দূর্গা পুজা হলেও এবার দুটি পুজা মন্ডব বেড়েছে। এছাড়া ৪০টি ঘটপুজা অনুষ্টিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজও শেষ পর্যায়ে।

চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত দে ও সাধারণ সম্পাদক ডা.অসীম কান্তি দে বলেন, এবারের পুজাকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। অসুরকে মা দূর্গা কীভাবে বিনাশ করেছেন সে রুপ তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া সংগীতানুষ্টান ও নাটক করা হবে। আশা করি সুন্দর একটি পুজা উপহার দিতে পারবো।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের ন্যায় চকরিয়াতেও যাতে সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলা হবে। প্রতিটি পুজা মন্ডপের কমিটি এবং সনাতন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কথা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সেচ্ছাসেবকদল, আনসার সদস্য, পুলিশ থাকবে। এছাড়া পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবে।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী বলেন, প্রতিবছরই চকরিয়া পৌরসভা দূর্গাপুজায় আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। এবছরও পৌরসভার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশও কাজ করবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, দুর্গোৎসব এখন বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। দুর্গোৎসব বাঙ্গালীর উৎসব। এ উৎসব যাতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্ততি রয়েছে। পুজা মন্ডপগুলোতে যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেজন্য পুজার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, উপজেলা এবং পৌরসভার পুজা মন্ডপে ভক্তদের যাতায়তের সুবিধার জন্য সড়কের খানাখন্দকগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: