ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মহেশখালী পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যারা

maksud-miaআবদুর রাজ্জাক,মহেশখালী :

কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভা নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র দুটি কেন্দ্রে দু মেয়র পক্ষের সর্মথকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,ফাকাঁ গুলি বর্ষণ ও হতাহতের মধ্য দিয়ে ২০ মার্চ রবিবার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত হতাহতের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে আবদু শুক্কুর চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে নেওয়ার পথে মারা যায়। অন্য সাতটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মহেশখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়র পদে পদে আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ৮ হাজার ৪ শত ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরওয়ার আযম বি,এ (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ৬ হাজার ৩ শত ২৩ ভোট।

সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন যারা

১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড থেকে রহিমা কবির ২ হাজার ৬শত ১৯ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি মেনোয়ারা মোজাম্মেল পেয়েছেন ২ হাজার ৩ শত ৫৫ ভোট। ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে জাহেদা আক্তার ২ হাজার ৭ শত ১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি প্রীতি কণা শর্মা পেয়েছেন ১১৮১ ভোট। ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে ২ হাজার ৬১ ভোট সোলতানা রাজিয়া ভোটে পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি নাজমা আক্তার পেয়েছেন ১৬ শত ২৪ ভোট।

পুরুষ কাউন্সিলর নির্বাচিত পদে নির্বাচিত হয়েছেন যারা

১ নং ওয়ার্ড থেকে হামিদুল হক ৪ শত ৬২ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি এবদুল করিম বাদল পেয়েছেন ৩ শত ৯৮ভোট। ২ নং ওয়ার্ড থেকে আজিজ মিয়া ৬ শত ৬৩ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি দীপক পয়েছেন ৬ শত ২৬ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ড থেকে আবদু শুক্কুর ৬ শত ৭২ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি কাজি মোতাহের হোসেন পেয়েছেন ৫ শত ৮৪ ভোট। ৪ নং ওয়ার্ড থেকে বাবু মংলায়েন বিনা প্রৃতিদ্বন্দি নির্বাচিত হয়েছেন । ৫ নং ওয়ার্ড থেকে মকসুদ আলম ৭ শত ৮ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি মো: মনজুর আহমদ পয়েছেন ৫ শত ২২ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ড থেকে রতন কান্তি দে ৫ শত ৭ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেণ। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি প্রণব কুমার দে পেয়েছেন ৪ শত ভোট। ৭ নং ওয়ার্ড থেকে সনজিত চক্রবতি ৫ শত ৪৫ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেণ তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি হাসান সরওয়ার কাজল পেয়েছেন ২ শত ৫৪ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ড থেকে মিসকাত সিকদার ৫ শত ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি এম রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ শত ৬৮ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ড থেকে এম ছালামত উল্লাহ ৬ শত ২৬ ভোেট পেয়ে নির্বাচিত হন তাঁর নিকটতম প্রৃতিদ্বন্দি খাইর হোসেন পেয়েছেন ৩ শত ৯০ভোট।

২০ মার্চ রবিবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে একটানা ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলে ও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। ফলে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভোট নিতে হিমশিম খেতে হয়। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।পৌরসভায় নয়টি ওয়ার্ড়ে ১৭ হাজার ৯ শত ৬০ জন ভোটারদের মধে ৯ হাজার ৪ শত ১৭ জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ৫ শত ৪৩ জন জন মহিলা ভোটার রয়েছে। মোট ভোট কেন্দ্র ৯ টি। মোট ভোট কক্ষ(বুথ) ৪২ টি।

সরেজমিনে পোৗরসভার পুঠিবিলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী ডিগ্রি কলেজ,বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোনা পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, গোরকঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,গোরকঘাটা ইউনিয়ন ভুমি অফিস, গোরকঘাটা ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, অনেক নারী ও পুরুষ ভোটার লাইনে দাড়িয়ে সু-শৃঙ্খলভাবে তাদের পছন্দনীয় প্রর্থীদের ভোট দিচ্ছেন। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় ও রাখাইন সম্প্রদায়ের ভোটারেরা জানান,তরুণী থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কোন ধরনের বাধা ছাড়াই তাদের ইচ্ছামত প্রছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। আবার অধিকাংশ ভোটাররা জানান এবারের নির্বাচন দলীয় ভাবে হওয়ায় তারা দলীয় প্রার্থীদেরই ভোট দিয়েছেন বলে জানালেন। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের চেয়ে রেকর্ড সংখ্যক নারী ভোটার ভোট দিয়েছে।

এ ব্যাপারে নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবুল কালাম বলেন, নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের নেতৃর্ত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ও র‌্যাবের একাধিক টিম মাঠে থাকায় বড় ধরনের কোনো সহিংস ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

পাঠকের মতামত: