ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

ঈদগাঁহে গোপন অভিসারে গিয়ে কথিত এমবিবিএস ডাক্তার আটক!

আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁহ (কক্সবাজার )প্রতিনিধি :: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহে প্রবাসী স্ত্রীর সাথে গোপন অভিসারে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে নুর মোহাম্মদ জিন্নাত নামের কথিত এমবিবিএস ডাক্তার।এ ডাক্তার ঈদগাঁহস্থ ইসলামাবাদ ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল শুক্কুরের মেয়ে জামাই।রবিবার(৪ আগষ্ট) রাত দেড়টার দিকে  ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজী পাড়ায় পরকিয়া প্রেমিকার বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত ইদ্রীসের মেয়ে আসমাউল হুসনার বাবার বাড়িতে গভীর রাতে উক্ত স্ব-দাবিদার এমবিবিএস ডাক্তারকে গোপনে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখে ফেলে প্রতিবেশীরা।তাদের সন্দেহ হলে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার সাহাব উদ্দীনকে অবগত করে লোকজন।

ইতিমধ্যে ঘরে প্রবেশ করা পরকিয়া  প্রেমিক ও প্রেমিকা বুঝতে পারে তাদের অনৈতিক কার্যকলাপ টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করতে ঘরের চারপাশে অবস্থান করছে। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে পালানোর চেষ্টা কালে লোকজন মেডিকেল কলেজে না পড়েও অনলাইন রেকর্ডে এমবিবিএস ডাক্তার দাবিদার লম্পট এ ডাক্তারকে আটক করে ঘটনাস্থলেই ওই ওয়ার্ড মেম্বারকে সোপর্দ করে।

মেম্বার তখনই ধৃত ডাক্তার , পরকিয়া প্রেমিকা প্রবাসী স্ত্রী আছমার স্বীকারুক্তি এবং উপস্থিত লোকজনদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়, তারা দীর্ঘ দিন ধরে এ অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছে।

আজও এ অবৈধ মেলা মেশা করার সময় লোকজন টের পেয়ে প্রেমিকার ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে।পরকিয়া প্রেমিক কথিত ডাক্তার ইসলামাবাদ ফকিরা বাজারের এক ফার্মেসিতে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।তাই মেম্বার বাজার সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান লাভলু ও সহ সভাপতি ওবাইদুল হককে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় সাথে নিয়েছিল। তারাও তাদের স্বীকারুক্তি শুনে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে ডাক্তারকে তাদের জিম্মায় নেন পরদিন বিকালে বিচার শালিশে উপস্থিত হওয়ার শর্তে।

ঘটনার বিষয়ে মেম্বার সাহাব উদ্দীনের সাথে সরাসরি কথা হলে জানান, লোকজন গভীর রাতে এ প্রবাসী স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে গোপনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করে তার হাতে সোপর্দ করে এবং পরকিয়া জুটি তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকারও করে।বাজার সমিতির সভাপতি এবং সহসভাপতির জিম্মায় ছেড়ে দিই।কিন্তু পরদিন বিকালে মেয়ে পক্ষের লোকজন বিচারে উপস্থিত হলেও এ লম্পট ডাক্তার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে লোকজন মারফত জানতে পেরেছেন।

ইতিপূর্বেও এ ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার চিকিৎসার সুযোগে সুন্দরী তরুণী ও প্রবাসীদের সুন্দরী স্ত্রীদের ফাঁদে পেলে একই অপকর্ম করেছে।যা এলাকার সবাই জানে।তাই এলাকাবাসী ও প্রবাসী পরিবারটি এ লম্পট পরকিয়া জুটির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।এদিকে ধৃত কথিত ডাক্তার জিন্নাত ও প্রেমিকা আছমার সাথে উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইল বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।

উল্লেখ্য ,বিগত তিন বছর পূর্বে উক্ত আছমার সাথে সামাজিক ও শরয়ী ভাবে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী পোকখালী ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের।স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে আছমা বিভিন্ন জনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ।যা তাদের সন্দেহ জাগে।পরে স্বামী তাকে সৌদি আরবেও নিয়ে যাই।সেখানে কয়েক মাস থাকার পর দেশে ফিরে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে আছমা।শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলে সে কয়েকমাস পূর্বে কৌশলে নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার ভান করে গিয়ে আর ফিরেনি। সেখানে গিয়ে আরো বেপরোয়া জীবন শুরু করে।যার প্রমাণ এ ঘটনা ।এছাড়া তাদের কাছে তার সাথে অনেকের সম্পর্ক থাকার আরো বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করে স্বামী পরিবারের সদস্যরা ।

পাঠকের মতামত: