ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে বিজিবি ও মাদক চোরাকারবারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত-১ ঃ ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজারের টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির সদস্যদের সাথে ইয়াবা চোরা কারবারীদের বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন। নিহত চোরা কারবারী মোঃ জাফর আলম (২৬) নোয়াপাড়া মুছনী ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা (মিয়ানমারের নাগরিক) বলে জানা গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সাবরাং ইউপিস্থ ৫নাম্বার স্লুইচ গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন ২ বিজিবি সদস্য। এ সময় ৫ হাজার ইয়াবা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, গত ১৯ জানুয়ারি তারিখে সন্ধ্যায় বিজিবি কর্তৃক, নোয়াপাড়া মুছনী ক্যাম্পে (এ ব্লক, শালবাগান, রুম নং-১৮০/৫, ২৬) বসবাসকারী দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে মোঃ জাফর আলম (২৬) (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটক মাদক চোরা কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, বিপুল পরিমান ইয়াবা ২০ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সাবরাং ইউপিস্থ ৫নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আটক রোহিঙ্গা জাফর আলমকে নিয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর নাঃ সুবেদার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টহলদল দ্রুত ওই এলাকায় অবস্থান নেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ৫ নং স্লুইচ গেইট সংলগ্ন খাল দিয়ে একদল ব্যক্তিকে উঠতে দেখে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে।
বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চোরাকারবারী দলের সদস্যরা বিজিবি টহলদলের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এতে বিজিবি’র টহলদলের দুইজন সদস্য আহত হন। এ সময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে ২০-২৫ রাউন্ড পাল্টা গুলি বর্ষন করে। উভয় পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে আটক মাদক চোরাকারবারী জাফর আলম নিহত হন।
বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী আরো জানান, উক্ত স্থান হতে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ব্যাপারে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান অধিনায়ক মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, উদ্ধার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পাঠকের মতামত: