ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, ৩ দিনে ভর্তি অর্ধশত শিশু

এম. এ মান্নান, কুতুবদিয়ায় ::
কুতুবদিয়ায় শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ৩ দিনে ডায়রিয়া সহ ৮০টির বেশি ভর্তির রোগীর মধ্যে ৫০টিই ছিল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু। ফলে হাসপাতালে তিলঠাঁই হচ্ছেনা পরিস্থিতি এখন। বারান্দায় ঠাঁই নিচ্ছে অনেক রোগী। এমনিতেই প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে। চলতি নভেম্বর ম্সা শুরুতেই এ প্রকোপ অত্যধিক বেড়ে গেছে। আর বেশির ভাগ ডায়রিয়া রোগীর মধ্যে শিশুরাই বেশি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৫ নভেম্বর সোমবার ২৮ জ রোগী ভর্তি হয়। এরমধ্যে ১৩ জন ছিল শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পর ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার ভর্তি হয় ৩৩ রোগী। তার মধ্যে শিশু ডায়রিয়া রোগী ২৩ জন। ৭ নভেম্বর বুধবার ডায়রিয়া সহ অন্যান্য রোগে ভর্তি ২০ জন। তার মধ্যে শিশু ডায়রিয়ায় ভর্তি হয় ১৩ জন। ৩ দিনে অর্ধশত শিশু শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি হয় ডায়রিয়া নিয়ে। এদের অনেকেরই ডায়রিয়ার সাথে নিউমোনিয়াও রয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ,ইনজেকশন স্যালাইন,এন্টিবায়োটিক সরবরাহ কম। যে কারণে অনেক দরিদ্র রোগী সন্তানের চিকিৎসা করাতেই নি:স্ব।
লেমশীখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মরিয়ম বেগম তার শিশুু সাইফুলকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ভর্তি করিয়েছেন গত মঙ্গলবার। তিনি গতকাল(বৃহস্পতিবার) সকালে জানান, ৩দিনেও পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়নি।কি করব বুঝতে পারছিনা। ৪ ব্যাগ শিশু ইনজেকশন স্যালাইন চলছে। দু‘টি বাহির থেকে কিনেছেন। বাকি দু‘টি অনেক তদবির করে হাসপাতাল থেকে পেয়েছি। আরো একজন শিশু রোগীর পিতাও জানালেন এমন কথা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সাধারণত: শীত আগমণের প্রাক্কালে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপটা বেড়ে যায়। হাসপাতালে অধিক চাপ পড়ে। তবে সে তুলনায় ইনজেকশন স্যালইন সরবরাহ কম। মওসুম অনুযায়ি বরাদ্ধের পরিমাণ বাড়ানো হলে এ সংকট থাকবেনা বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া হাসপাতালে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩ জন নার্স যোগদানের কথা জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: