ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

আলীকদমে গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক ৭

ছবির ক্যাপশনঃ আলীকদম (বান্দরবান) আটক ৭ আসামী ও ইনসেটে নিহত হেলাল উদ্দিন।

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় হেলাল উদ্দিন (৩০) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মাতামুহুরী রিজার্ভের দুর্গম পাহাড়ি ইন্দুমুখ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পোয়ামুহুরী এলাকায় গরু কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হন হেলাল উদ্দিন। আলীকদম থানা পুলিশ ৭ জন আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তা পুলিশ তাদের আটক করে।

নিহত হেলাল উদ্দিন আলীকদম উপজেলার ৩ নম্বর নয়াপাড়া ইউনিয়নের মো. ইউনুছের ছেলে। আটক ব্যক্তিরা হল, কুরুকপাতা ইউনিয়নের লোহব ম্রো (৪০), মারান ম্রো (৫০), মেনচুক ম্রো (৩০), পাছুয়া ম্রো (৩৫), মেনতাং ম্রো (৩০), ৩ নম্বর নয়াপাড়া ইউনিয়নের মাংক্রাত ম্রো (২৮) ও মাংইন ম্রো (২৮)।

নিহত হেলালের মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর আমার ছেলে ২ লাখ টাকা নিয়ে মাতামুহুরী নদীপথে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা পোয়ামুহুরী যায় গরু কিনতে। যাওয়ার পর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর পর থেকে ছেলে আমাকে আর ফোন করে না। কারও কাছে কোনও খোঁজ খবরও পাই না। গতকাল আমার বড় ছেলে মো. ইলিয়াছ গিয়ে ইন্দুমুখ এলাকায় আমার হেলালের গলাকাটা লাশ খুঁজে পায়। আমরা পুলিশকে জানায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।’

এবিষয়ে আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাইফ শামীম বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি যেন কোনও স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তাছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।’

আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ বলেন, ‘সোমবার সকালে খবর পেয়ে আলীকদম থানা পুলিশ দুর্গম পাহাড়ি ইন্দুমুখ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। সন্ধ্যা ৭টায় দিকে লাশ আলীকদম থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমরা ৭ জনকে আটক করেছি।’

উল্লেখ্য, আটক ৭ আসামীর মধ্যে লোহব ম্রো গত ৫ নভেম্বর ২০১৫ইং এমএনডিপি নামে পাহাড়ি একটি সশস্ত্র বাহিনীর ৪৬ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী নিয়ে অস্ত্র সহ সেনাবহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

পাঠকের মতামত: