ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় টোলের নামে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি

নিউজ ডেস্ক  ::
উখিয়ার বালুখালী পানবাজার থেকে ইজারাদারের লেলিয়ে দেয়া টোল আদায়কারী কর্তৃক বিক্রেতা সাধারনের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। বাজারের সুনিদৃষ্ট এলাকার বাহিরে গিয়ে টোল আদায়ের নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে মর্মে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এর বাইরেও স্থানীয় ইজারাদার নিয়োজিত চিস্থিত সিন্ডিকেট ক্যাম্পে প্রবেশ করা গুলো থেকে গাড়ি প্রতি সন্ত্রাসী কায়দায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বাজার ইজারাদারের নির্দেশে এলাকার কথিপয় দুর্বৃত্ত জোর করে সরকার নির্ধারিত টোলের চাইতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারনে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে অসন্তেুাষ খোব ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। টোল আদায়ের ফায়দা লুটার জন্য জমির মালিকেরা সড়ক ঘেসে দোকান পাট গড়ে তোলার কারনে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। কোন প্রকার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ব্যবসা বানিজ্য করার সুযোগ করে দিয়ে ইজারাদার অতিরিক্ত ফায়দা লুটলেও এখাতে সরকার প্রচুর পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা অবৈধ ভাবে ফার্মেসি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। কোন প্রকার বৈধতা ছাড়া বেঙ্গের ছাতারমত গজে উঠা এসব ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে নি¤œ মানের মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষুধ সামগ্রী। যা সাধারন জনগন ও রোহিঙ্গাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছে। রোহিঙ্গারা নিয়মিত মিয়ানমারে আসা যাওয়া করার সুযোগ পেয়ে তারা সেখান থেকে নিয়ে আসছে মরণ নেশা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মিয়ানমারের পন্যে সামগ্রী। ইজারাদার এসব রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তাছাড়া ক্যাম্পের প্রবেশ মুখে ইজারাদার নিয়োজিত সিন্ডিকেট সন্ত্রাসী কায়দায় গাড়ি প্রতি প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার চৌধুরী জানান, বাজার ইজারা ফেরিফেরির বাইরে গিয়ে এমনকি থাইংখালী থেকে ময়নারঘোনা পর্যন্ত এলাকার সর্বক্ষেত্রে প্রতিটি পন্যের বিপরীতে অতিরিক্ত অনৈতিক ভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বালুখালী পানবাজার ইজারাদার ফজল কাদের ভুট্রো জানান, সরকারি ভ্যাটসহ প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা দিয়ে বাজারটি ইজারা নেওয়া হয়েছে। অথচ সেই পরিমান টোল আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, স্যারেন্ডার করার নিয়ম থাকলে তিনি বাজারটি প্রশাসনের হাতে ফেরত দিতেন। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার শুরু করে তাকে হেয় প্রতিপন্য করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, অভিযোগটি তিনি শুনেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: