ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফিটনেসবিহীন গাড়ীতে সয়লাব ঈদ্গাও বাসস্টেশন

বিশেষ প্রতিবেদক ::   কক্সবাজার সদর থানাধীন ঈদগাহ বাসস্টেশনে ফিটনেসবিহীন গাড়ীতে সয়লাব হলেও কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারনে রয়েছে নীরব।এরফলে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।অভিযোগ রয়েছে ,দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায়ের কারনে ফিটনেসবিহীন গাড়ী ও ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছেনা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, ঈদগাহ বাসস্টেশন কেন্দ্রিক প্রায় ৩০০ টি ডাম্পার রাস্তায় চলাচল করলেও গাড়ী ও ড্রাইভারের লাইসেন্স থাকার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে কারন এই গাড়ীর ইঞ্জিন,সেসিস আসে স্ক্র্যাপ হিসেবে জাপান থেকে স্থানীয় ওয়ার্কশপে বাকী কাজটুকু সমাধান করা হয়।শ’খানেক মাইক্রোবাস সচল থাকলে ও বেশীর ভাগের ফিটনেস সার্টিফিকেট নাই।তাছাড়া,মাহিন্দ্র,সিএনজি ও টমটমের ব্যাপক ঊপস্থিতির কারনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুরপাল্লার বাস চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ঈদ্গাও বাসস্টেশনের দুইপাশে মহাসড়ক দখল করে বাস,মাইক্রোবাস,সিএনজি,ডাম্পার রাখা হলে ও রহস্যজনক কারনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে,মাসিক টোকেনের মাধ্যমে দু,পাশে পার্কিং সুবিধা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে একজন মাহিন্দ্র মালিক জানান,প্রতিমাসে থানায় এবং দৈনিক ভিত্তিতে ষ্টেশনে চাঁদা দিতে হয়।আমার বা গাড়ীর লাইসেন্স থাক বা না থাক চাঁদা দিতেই হবে।তাই ফিটনেস বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে কার ও আগ্রহ থাকেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাম্পার ড্রাইভার জানান,ডাম্পার সমুহ যে এলাকায় চলাচল করে সংশ্লিষ্ট থানার টোকেন থাকে কাজেই ফিটনেস বা লাইসেন্স চলাচলের ক্ষেত্রে বাঁধা হতে পারে না।টোকেনবিহীন গাড়ী একঘন্টা ও রাস্তায় থাকতে পারবেনা।

একজন সিএনজি চালক জানান,লাইসেন্স দেখার আগ্রহ কার ও নাই সবার নজর দৈনিক ও মাসিক চাঁদা আদায়ের দিকে।কাজেই ফিটনেস সনদ না থাকাটা স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে ট্রাফিক অফিসে ফোন করে এবং মোবাইলে এস,এম,এস পাঠানো হলে ও রেসপন্স না করায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

161

পাঠকের মতামত: