ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ায় পুত্রের হাতে প্রহ্নত বয়োবৃদ্ধ পিতা 

এম. মনছুর আলম, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় নাদের হোছাইন (৭১) নামের এক বয়োবৃদ্ধা লোককে তার অবাধ্য পুত্র মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।আহত বৃদ্ধা নাদের হোছাইন পৌরসভা ৯নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নিজপানখালী এলাকার মৃত উজির আলীর পুত্র।এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে।বয়োবৃদ্ধ নাদের হোছাইন অবাধ্য পুত্রের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় শত শত জনতা।

চকরিয়া পৌরসভাস্থ ভাঙ্গারমুখ সংলগ্ন পূর্ব নিজ পানখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৬জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব নিজপানখালী এলাকায় ওই চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে শাস্তির দাবী জানিয়ে এ বিক্ষোভ করেন। বয়োবৃদ্ধা নাদের হোছাইন অভিযোগ করে বলেন, তার সংসারে ৭ সন্তান ও এক কন্যা রয়েছে।তার ছেলেরা বড় হয়ে যে যার যার মতো করে পরিশ্রম ও ব্যবসা বাণিজ্য করে সংসার নিয়ে জীবন যাপন করে যাচ্ছে।আমার কোন সন্তানকে সন্তোষজনক ভাবে ভিটে-বাড়ি করার জন্যও জায়গা জমি দিতে পারিনি। বেশ কয়েক মাস যাবত দেখা গেছে অবাধ্য কনিষ্ট পুত্র মহিউদ্দিন প্রকাশ আফেল মরণনেশা মাদক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে যায়।এ ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে তার সাথে বিভিন্ন এলাকার বড় বড় ব্যবসায়ীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।সে নাকি তার ভাই আমার আরেক পুত্র গিয়াস উদ্দিনের মাধ্যমে চোখের আড়ালে বড় বড় ইয়াবা চালান পাঠাতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।তার এ ধরণের জগণ্য অপরাধমূলক কাজ করার খবর আমার কানে আসলে এ ইয়াবা বন্ধ করে দেয়ার জন্য কয়েকবার তাগাদা দেয়ার সত্ত্বেও সে ছেড়ে দেয়নি।

প্রশাসনের চোখের আড়ালে দিব্যি চালিয়ে যায় এ ইয়াবা ব্যবসা। তিনি আরো বলেন, তার এ জগণ্য অপরাধমূলক ব্যবসা না করার জন্য বাঁধা দেয়ায় ও নিষেধ করার দায়ে আমার অবাধ্য পুত্র আফেল বিভিন্ন সময়ে তর্কে জড়িয়ে নানা ধরণের কটুক্তি ও উচ্চবাচ্য করেন।সর্বশেষ তর্কাতর্কি এক পর্যায়ে সে আমাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ২৯ জুন তারিখে বেদড়ক মারধর করে রাস্তায় টানা হেছড়া করেন।তার কাছে আমার প্রশ্নছিল, হঠাৎ করে তুই এত টাকা কোথায় পেলি। এত বিশাল বাড়ি বানানোর জন্য তো আমি তোদের কোন টাকা-পয়সা দেইনি। এত টাকা কোথায় থেকে এসেছে? সে প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে উল্টো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাপক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে তার মারধরের হাত থেকে উদ্ধার করেন। মূলত সে একজন পেশাদার ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ীও। সে নাকি কোনাখালী এলাকা থেকে অস্ত্র ক্রয় করে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় পাচার করে।পাচারকারীকে অস্ত্র দিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে আসতো। তার এ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ও বাধা দেয়ায় মারধরে আহত করে।তার অপরাধ কর্মকান্ড ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইতিপূর্বে মায়ের নির্মম মৃত্যু হয়।স্থানীয়রা তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী নিয়ে জুমার নামাজের পর শত শত জনতা ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসায়ী পিতার অবাধ্য সন্তান আফেলের গ্রেপ্তার দাবীতে বিক্ষোভ করেছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর বলেন,ঘটনার বিষয় নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।##

পাঠকের মতামত: