ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বনবিভাগের পাহাড় কেটে সাবাড় করছেন ইটভাটা মালিকচক্র!

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর এলাকায় স্কেভেটর গাড়ি দিয়ে বনবিভাগের পাহাড় কেটে এবার ইটভাটার রাস্তার তৈরী করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে বনবিভাগের কর্মকর্তারা ওই এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে অভিযুক্ত ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন তাদের উপর আক্রমনের চেষ্ঠা করেছে। এ ঘটনার পর থানা পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনকর্মীদের সহায়তায় ইটভাটার দুইটি অবৈধ স্থাপনা (অফিসঘর) উচ্ছেদ ও মাটি কাটার বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আবদুল মতিন ও থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ ও বনকর্মীরা উপজেলার মানিকপুর বনবিটের অধীন বাবুল চৌধুরী ও বশির আহমদ নামের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির ইটভাটা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে অভিযানের সময় ইট ভাটা মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষনিক কাউকে আটক করতে পারেনি অভিযান টিম।

ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আবদুল মতিন বলেন, সরকারিভাবে অনুমোদন না থাকলেও চকরিয়া পৌরসভার পুকপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান ওরফে বাবুল চৌধুরী ও বশির আহমদ নামের দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে ১০-১২জনের একটি চক্র মানিকপুর বনবিটের অধীন পাহাড়ি এলাকায় সম্প্রতি সময়ে অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কয়েকদিন ধরে তাঁরা দুইটি স্কেভেটর গাড়ি দিয়ে ইটভাটার জন্য রাস্তা তৈরী করতে সেখানের কয়েকটি পাহাড়ের সামনের অংশ কেটে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ মিটার এলাকা সাবাড় করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঘটনাটি জানার পর গতকাল দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওইসময় অভিযুক্তরা প্রথমে আমাদেরকে বাঁধা দেয়ার চেষ্ঠা করলেও পরে থানা পুলিশের সহায়তায় পুনরায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ইটভাটার শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও পরে সেখানে তাদের তৈরী করা দুইটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মাটি কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানা ও উপজেলা আদালতে আলাদাভাবে দুইটি মামলা রুজু করা হচ্ছে। মামলার বাদি হবেন মানিকপুর বনবিট কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ।

চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, বনবিভাগের পাহাড় কেটে অবৈধভাবে ইটভাটার রাস্তা তৈরীর করার ঘটনায় অপ্রীতিকর সংঘাত এড়াতে গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটিদলকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন। লিখিত এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে।

পাঠকের মতামত: