ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মাতামুহুরী ব্রীজ ঝুঁকি মুক্ত রাখতে বরাদ্ধ দেয়া ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা যেন হরিলুট না হয়

নিউজ ডেস্ক :: ওলট-পালট করে দেয় মা-লুটে পুটে খাই-এ যেন আল্লাহ্ ছাড়া দেখার কেউ নাই”
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর উপর ১৯৬০ সালে নির্মিত গার্ডার ব্রীজটি এখন মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ। দীর্ঘ ৫৮ বছর আগে নির্মিত ব্রীজের উপর দিয়ে সারাদিন-সারারাত চলছে হাজার হাজার পণ্য ও যাত্রী বোঝাই গাড়ি মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ব্রীজের ছাদের নীচে ধরেছে ফাটল।
ইতি পূর্বে কক্সবাজার সড়ক বিভাগ ব্রীজের নিচে সিমেন্ট মিশ্রিত বালির বস্তা বসিয়ে সরকারের লাখ-লাখ টাকা অপচয় ও নিজেদের পকেট ভারী করলেও কোন লাভ হয় নি। চলতি অর্থ বছর ব্রীজটি পূনরায় ঝুঁকি মুক্ত করতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজবাহ্ এসোসিয়েট ওই কাজটি পায়। তারা ইতি মধ্যে ব্রীজের নিচে ৩টি পিলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি পিলারের সারিতে রয়েছে ৩টি জমানো খূঁটি। বাকী কাজ হচ্ছে ব্রীজের ছাদের কয়েকটি স্থানে ফুটু হয়ে যাওয়া জায়গায় স্টীলের সীট বসিয়ে উপরে কার্পেটিং কাজ করা। অভিজ্ঞ মহলের মতে এই প্রকল্পটি ঝুঁকি পূর্ণ মাতামুহুরী ব্রীজকে ঝুঁকি মুক্ত করা নয় ! মূলত অর্থলোভী ঠিকাদার ও দূনীতি পরায়ন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেট ভারী করা।
একটি সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক সাইড এলাকায় প্রকল্পে বিস্তারিত তথ্য চিত্র তুলে ধরে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো। কিন্তু অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জনগণের দৃষ্টি এড়িয়ে এ পর্যন্ত কোন সাইনবোর্ড প্রকল্প এলাকায় স্থাপন করেননি। এতে সচেতন মহলের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলে এটি সমুদ্র চুরির প্রকল্প।

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে এ ব্রীজটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারসহ ২৫টি উপজেলার অর্ধকোটি মানুষ তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ১টি নতুন ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ চোখে দেখার মত শুরু করেননি। তাই এলাকাবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে মাতামুহুরী ব্রীজ নির্মাণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোরদাবী জানিয়েছেন।

বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ মাতামুহুরী ব্রীজকে ঝূঁকিমুক্ত রাখতে বরাদ্ধ দেয়ার অর্থের যেন হরিলুট না হয় তৎ জন্য একটি সৎ অভিজ্ঞ টিম দিয়ে কাজটি সরেজমিনে পরিদর্শনের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: