ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে বিষোদাগারের অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে আগত একজন নারী রোগীর চিকিৎসা নিয়ে প্রতিবাদ পরবর্তী বাগবিতন্ডার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হুমকি ও মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে বিষোদগার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে তাঁর অফিসকক্ষে ঘটেছে এ ধরণের ঘটনা। এ ঘটনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে হাসপাতালের অফিস সহায়ক ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজার ছেলে নেজাম উদ্দিন জানান, বুধবার সকালে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মাঝবয়সের একজন নারী রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। ওইসময় আমি তাকে চিকিৎসা করতে জরুরী বিভাগে দায়িত্বপালন কারী মেডিক্যাল সহকারি নাজিম উদ্দিনকে অনুরোধ করি। তিনি ওইসময় রোগীর চিকিৎসা না করলে বিষয়টি হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা) ডা মোহাম্মদ শাহবাজকে অবহিত করি।

নেজাম উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, ঘটনাটি জানাতে গেলে উল্টো আমার উপর ক্ষেপে যান ডা.শাহবাজ। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে পরিচয় দিয়ে তোরা ৯বছর ধরে দেশটা ঘিলে খাচ্ছো!। কারনে অকারণে হাসপাতালকে জিন্মি করে রেখেছো। ওইসময় আমি উত্তরে তাকে বলি, আমি তো ছোট কর্মচারী কিভাবে হাসপাতালকে জিন্মি করবো, তখন তিনি (ডা.শাহবাজ) আমাকে বলে কুত্তার বাচ্চার বেশি কথা বলবিনা। নেজাম উদ্দিন দাবি করেন, তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা সর্ম্পকে বিষোদগার করার কারণ জানতে চাইলে ওইসময় ডা.শাহবাজ চেয়ার থেকে উঠে তাকে মারধরে ধাওয়া করেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থল (হাসপাতালের অফিস কক্ষ) থেকে দ্রুত বেরিয়ে পড়েন।

নেজাম উদ্দিন জানান, মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে বিষোদাগার করার ঘটনাটি তিনি তাক্ষনিক চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাজি আবু মো.বশিরুল আলম ও কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারকে অবগত করেন।

ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজ নিজের অপর্কম ঢাকতে প্রতিবাদকারী কর্মচারী নেজাম উদ্দিনকে গণকর্মচারী শৃঙ্খলভঙ্গের অভিযোগ তুলে অফিস আদেশের মাধ্যমে কৈফিয়ত তলব করেন। কৈফিয়তের জবাব একদিনের (২৯ মার্চ সকাল দশটার ) মধ্যে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে দেয়ার নির্দেশ দেন।

জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজ। তিনি বলেন, রোগী দেখার বিষয় নিয়ে জরুরী বিভাগের মেডিকেল সহকারির সাথে তর্কাতকিতে জড়ান অফিস সহায়ক নেজাম। ঘটনাটি আমাকে অবহিত করা হলে ওই ব্যাপারে আমি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিই। তবে ওইসময় তাঁর (অফিস সহায়ক) সাথে আমার মধ্যে কোন ধরণের ভাগবিতন্ডা হয়নি এবং আমি মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কোন ধরণের মন্তব্য করিনি। তিনি বলেন, তাকে (অফিস সহায়ক) কৈফিয়ত তলবের বিষয়টি একান্তই অফিসিয়াল ম্যাটার। এখানে অন্য কোন কারণ নেই।

পাঠকের মতামত: