ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ফুল আর মিষ্টি নিয়ে কনস্টেবলপ্রার্থীর বাড়ীতে তদন্ত কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অতীতে এমন চিত্র কক্সবাজার জেলায় হয়েছে কিনা কারো জানা নেই। তবে এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ হয়ত প্রথমবারের মতো কক্সবাজারে চোখ পড়ল। এতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা আরেক দফা বেড়ে গেল। পুলিশের প্রতি নীতিবাচক ধারণা হয়ত একটু হলেও কেটে গেলো সাধারণ জনগণের। হয়ত ফিরে আসতে শুরু করেছে পুলিশ বাহিনীর হারানো ঐতিহ্য। কক্সবাজারে প্রথম এমন দৃশ্য দেখালেন সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান।

সদ্য পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে উত্তীর্ণ মো. রফিকুল ইসলাম নামে এক প্রার্থীর বাড়িতে চুড়ান্ত ভেরিফিকেশন যান এসআই আতিক। শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর খুরুশকুল কোনার পাড়ায় ভেরিফিকেশনে যাওয়ার সময় তিনি নিয়ে যান লাল ফুল আর মিষ্টি।

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে উত্তীর্ণ রফিকুল ইসলামের পিতা মো. কালু একজন মৎসজীবি। মো. কালু বলেন- পুলিশ হল জনগনের সেবক। মানুষের পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমারও ইচ্ছা ছিল ছেলেকে পুলিশ বাহিনীতে ঢুকানো। আল্লাহর রহমতে শুক্রবার চুড়ান্ত ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার ছেলের চাকরি হয়েছে। কিন্তু অবাক হলাম ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব পাওয়া এসআই আতিক ফুল আর মিষ্টি নিয়ে আসলেন নিজেই। তিনি যখন ফুল আর মিষ্টি নিয়ে বাড়িতে আসলেন তখন আশপাশের মানুষ সবাই অবাক। দলে দলে ছুঁটে এসেছে আমার বাড়িতে। পুলিশ কেন মিষ্টি নিয়ে আসল। এমন নজির কক্সবাজারের কোথাও হয়েছে কিনা সত্যিই আমার জানা নেই বলে মন্তব্য করেন মো. কালু।

জানতে চাইলে এসআই আতিক বলেন- একজন মানুষ চাইলে ভালোও করতে পারে; আবার খারাপও করতে পারে। সব নিজের উপর নির্ভর করে। হয়ত ভালো কিছু করলে সবাই আজীবন মনে রাখবে। এতে শুধু নিজের সম্মান নয়, পুরো বাহিনীর সম্মান ও আস্থা বাড়ে। ভালো খারাপ সব জায়গা আছে। আমি বলবো না আমি ভালো। তবে ভালো কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে দেশের জন্য আর মানুষের জন্য। তাই কাজের অংশ হিসেবে ও মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য মিষ্টি আর ফুল নিয়ে গেলাম। এতে পুলিশের হারানো অনেক ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে আমার বিশ^াস রয়েছে।

পাঠকের মতামত: