ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জাদুকাটা নদীতে চলছে অবৈধ বোমা মেশিন ও সেইভ মেশিন বসিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন

স্টাফ রির্পোটার, সিলেট থেকে ::

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীতে চলছে বোমা মেশিন ও সেইভ মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন । এতে পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে হুমকির মূখে পড়েছে জনজীবণ । জনবসতি আশপাশ এলাকা ছেয়ে গেছে বিষাক্ত কালো ধোয়’য়। জাদুকাটা নদী থেকে মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে পুরো নদীর পানি হয়ে ওঠেছে বিষাক্ত । এতে করে পানিতে থাকা মাছ মরে গিয়ে উপরিভাগে ভেসে পচে গিয়ে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । এবং ওই নদীর পানি তৈলাক্ত হয়ে অন্য নদী নালার সাথে মিশে গিয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে । সেদিকে নজর নেই সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন বা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের । অভিযোগ ওঠেছে,নি¤œাঞ্চল সুনামগঞ্জ এলাকা নিয়েও । কারন এ জেলা নি¤œাঞ্চল হওয়ায় এসকল নদীর পানি ব্যবহার করে থাকেন স্থানীয় এলাকার কৃষক খেটে খাওয়া লোকেরা । এ নদী থেকে পানি উত্তোলন করে ধান চাষ রোপনে ব্যবহার করেন স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু এ নদীর পানিতে বোমা মেশিন ও সেইভ মেশিন ব্যবহার করায় এ মেশিনগুলোর জ¦ালানো তৈল পানিতে পড়ে মিশে গিয়ে সম্পন্ন পরিবেশ এখন বিনষ্ট । সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার লাউড়েরগড় বিওপির পশ্চিমে ও বারেকটিলার খেয়াঘাটের দক্ষিণে বয়ে গেছে ছিলা বাজার পর্য্যন্ত সীমান্ত ঘেষা জাদুকাটা নদী। সেই নদীতে প্রায় শতখানিক বোমা মেশিন ও সেইভ মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে পাথর খেকো ও বালু খেকোরদল অবাধে বালু-পাথর উত্তোলন’র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । অভিযোগ রয়েছে কতিপয় অসাধু বিজিবি সদস্যকে দৈনিক দেড়লাক টাকা চাদা ভর্তুীকি দিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করে এ রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু বালু-পাথর উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীরা । অবৈধ পন্থা ব্যবহার করে এসকল অসাধু ব্যবসায়ীরা এখন লাখ লাখ টাকা কামাই করছে । এ সূযোগে কতিপয় বিজিবি সদস্যরাও হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা । এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকার সচেতন মহলের দাবি অবিলম্ভে জাদুকাটা নদী থেকে অবৈধ পন্থায় বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ না হলে অদূর ভবিষ্যতে গোঠা এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হবে। তাই তারা এবিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।

এবিষয়ে জানতে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ানের লাউড়েরগড় বিওপির নায়েক সুবেদার কেরামত আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,জাদুকাটা নদীতে কোন বালু ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছেনা । এটা জেলা প্রশাসনের কাজ তাদের সাথে আলাপ করেন এ বলেই তিনি তার পাশে থাকা সিনিয়র কর্মকর্তা কোম্পানী কমান্ডার রাশেদ’র নিকট মুঠোফোন দিয়ে দেন । এসময় কোম্পানী কমান্ডার রাশেদ জানান,বালু-পাথর উত্তোলনে আমাদের কোন হাত নেই বা চাদা আদায়ের ব্যাপারটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। তিনি তখন অনূরোধ করে বলেন,ভাই আপনারা আমাদেরকে ডিষ্ট্রার্ব না করে আমাদের মিডিয়া সেলে যোগাযোগ করলে ভাল হয়,কারন আমরা অনেক সময় ব্যস্থ্য থাকি তাই আপনাদের সাথে ঠিকমত কথা বলতে পারিনা । তবে আপনে যদি পারেন একবার সরেজমিনে এসে চা খেয়ে ঘুরে যাবেন আর সরেজমিনের অবস্থাটাও বুঝতে পারবেন । এসময় বালু-পাথর উত্তোলনে আদালতের কোন অনূমতি আছে কি না তার নিকট জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন বিষয়টি জেলা প্রশাসনের এখতিয়ারে আমাদের সেখানে কিছু করার নেই ।

এদিকে বিজিবি’র পিএসসি নাসির উদ্দিনের সরকারী মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন,হাইকোর্টের একটি আদেশ থাকায় জাদুকাটা নদী থেকে অবৈধ মেশিন বসিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন করছে একটি অসাধু চক্র । আদালতের আদেশ থাকায় কিছু করা যাচ্ছেনা । একপর্য্যায় সেই আদেশ’র রিট(মামলা) নং-কত জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন ভাই এটা আমার জানা নেই ?

পাঠকের মতামত: