ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে নবম শ্রেণির ছাত্র! একজনের প্রবেশপত্র অন্যজনের নামে

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::

রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার ফরম পূরণ করার পরও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না চকরিয়ায় পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার সমীর দের ছেলে সৃজন দে। তবে তার স্থলে নামের সঙ্গে মিল থাকায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৃজন কান্তি দের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু হয়েছে। সেই প্রবেশপত্রে ছবিও তার। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত দুটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সে। ওই দুজন চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সৃজন দে বাদী হয়ে ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গতকাল রবিবার শিক্ষামন্ত্রী, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ভরামুহুরী গ্রামের স্বপন কান্তি দের ছেলে সৃজন কান্তি দেকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানানো হয় অভিযোগে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদুল হক চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে বড় ধরনের ভুলটি হয়েছে। এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।’

তাহলে নবম শ্রেণির ছাত্র কীভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, সে নবম শ্রেণির ছাত্র নয়, পর পর দুবছর সে নবম শ্রেণিতে ছিল। তাই মূলত সে দশম শ্রেণিরই ছাত্র। দুজনের নাম একই। যে পরীক্ষা দিতে পারছে না সে ফরম পূরণের সময় দস্তখত করতে গিয়ে সৃজন কান্তি দে লেখাতেই ওই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের শিক্ষাজীবন এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। ভয়ঙ্কর এই ভুলের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে এই ভুল হয়েছে কী-না তাও দেখা হবে।’

ইউএনও আরো বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আগেরদিন রাতে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক আমার কাছে আসলে তাৎক্ষণিক শিক্ষাবোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু সময় একেবারে পার হয়ে যাওয়ায় সেই মুহূর্তে আর কিছুই করার ছিল না। এর পরও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কারোরই এ নিয়ে গাফিলতি ধরা পড়লে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে!-বিষয়টি প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, ‘কাগজপত্রে প্রমাণিত হচ্ছে না সে এখন নবম শ্রেণির ছাত্র। তার নামে যেহেতু প্রবেশপত্র ইস্যু হয়ে গেছে সে এখন বৈধ পরীক্ষার্থী। তাই এ নিয়ে আপাতত আমারও কিছুই করার নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

পাঠকের মতামত: