ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরী করে -মহতি সভায় বক্তারা

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:   কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাটাখালী কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মহোৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার থেকে তিন দিনব্যাপী মহতী ধর্মসভা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ বাটাখালী কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হয়েছে।৫জানুয়ারী রাত ৮টার দিকে মন্দির উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্টা ডা:সুনীল চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে ও মন্দির উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু বিমল সুশীলের সঞ্চলানায় উক্ত মহতি ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়।ধর্মসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজ্বী মো:ইলিয়াছ এমপি।এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মো.আলমগীর চৌধুরী,কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার চকরিয়া সার্কেল কাজী মতিউল ইসলাম,বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট্রি প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন,জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য ও বর্ণমালা একাডেমীর চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ দুলাল,জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু,চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী,বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের জেলার সহ-সভাপতি এম আর চৌধুরী,চকরিয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ,চকরিয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ প্রমূখ।

মহতী ধর্মসভা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ অনুষ্টানের প্রধান

ধর্মীয় আলোচক ছিলেন চন্দনাইশ শান্তি নিকেতনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শংকরানন্দ মহারাজ

মহতি ধর্মসভার আলোচনায় বক্তারা বলেন,চকরিয়া মধ্যে যে কোন ধর্মীয় উৎসব সকলের মাঝে সম্প্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ।দেশের কোথাও এ রখম শান্তি শৃঙ্খলা মধ্যদিয়ে কোন উৎসব পালিত হয় কিনা আমাদের জানা নেই।এটা বাংলাদেশের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বর্তমানে উপজেলা জুড়ে আনন্দঘন পরিবেশে যে উৎসব গুলো পালন করে আসছে তা শুধু বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য নয়, এটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনায় জাতীয় ঐক্যের একটি মহামিলনোৎসব।বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এখানে সকল ধর্মের মানুষের সহবস্থান রয়েছে।এখানকার মানুষের মাঝে যে সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার যে চর্চা বিরাজমান,সে চর্চায় সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরী করে।এই শুভ গুণগুলোকে আমরা প্রতিনিয়ত চর্চা করলেই চকরিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কখনো বিনষ্ট হবে না।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার দৃঢ প্রত্যয়ে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলাদেশ রূপান্তরিত করতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে সেতু বন্ধন তৈরি করতে হবে।একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে সম্প্রীতির চেতনায় সোনার বাংলা বিনির্মানে এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন দ্বারপ্রান্তে বলে বক্তারা জানান।##

পাঠকের মতামত: