ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘চকরিয়া কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আবু তাহের কে কর্মস্থলে যোগদানে গড়িমসি’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::

কক্সবাজারের চকরিয়া কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আমি মো: আবু তাহেরকে স্ব পদে যোগদান করার জন্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট আদেশ জারি করলেও তা মানছে না কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি এবং অধ্যক্ষ। ফলে নিজ পদে থাকার জন্য আদালতের আদেশ সহ বেশ কয়েকবার কলেজে গিয়ে দায়িত্ব বুঝে না পেয়ে হতাশায় ফিরে আসি। বিগত ০৯/১২/২০০৯ইং তারিখে কলেজ গভর্ণিং বডি বেআইনীভাবে আমাকে ভাইস প্রিন্সিপাল পদ থেকে বরখাস্ত করেন। উক্ত বরখাস্ত আদেশটি বিগত ২৯/০১/২০১৩ইং স্মারক নং-০৭(চ-০৯০) জাতীঃবিঃ/কঃপঃ/৪২৮১ মূলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে আমি বিগত ২৭/০২/২০১৩ইং তারিখ জাতীয বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে আপীল করি। উক্ত আপীলটি বিগত ২৯/০৭/১৩ইং তারিখে স্মরক নং-০৭(চ-০৯০)জাতীঃবিঃ/কঃপঃ/৪০৯ মূলে না মঞ্জুর করায় উক্ত না মঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে আমি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৬৮২৭/১৪ নং রীট পিটিশন দাখিল করি। উক্ত ৬৮২৭/১৪ নং রীট পিটিশনটি গত ০৪/১২/২০১৭ইং তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং মাননীয় বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খান উক্ত বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ও বে-আইনী ঘোষণা করে আমাকে চকরিয়া ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল পদে পুনঃ বহালের আদেশ প্রদান করেন। এই মর্মে আমার নিযুক্তীয় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট জনাব মোঃ ফখর উদ্দিন প্রদত্ত এডভোকেট সার্টিফিকেট অত্র দরখাস্তের সাথে সংযুক্ত করা হল।

তিনি বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ৬৮২৭/১৪ নং রীট মামলার ০৪/১২/২০১৭ইং তারিখের রায়ের আদেশের আলোকে কর্মস্থলের যোগদানের বিষয়ে কলেজ গর্ভণিং বডির সভাপতির সাথে গত ০৭/১২/২০১৭ইং তারিখ মোবাইলের মাধ্যমে আলাপ করি। তিনি আমাকে বলেন যে, কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। তিনি আরো বলেন যে, আমি বর্তমানে ঢাকায় ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত বিধায় আগামী ০৬/১২/২০১৭ইং এবং ০৭/১২/২০১৭ইং যে কোন একদিন আমার চট্টগ্রামস্থ বাসায় আমার সাথে দেখা করার জন্য পরামর্শ দেন। সভাপতি মহোদয়ের পরামর্শক্রমে আমি গত ১০/১২/২০১৭ইং তারিখ বেলা ১টার সময় চকরিয়ার ডিগ্রী কলেজের কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আবেদন পত্রসহ অধ্যক্ষ বরাবর দাখিল করি। কিন্তু অধ্যক্ষ আমার আবেদনটি গ্রহণ করতে এবং কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে গড়িমসি করেন।

পরবর্তীতে আমি অধ্যক্ষকে উপস্থাপন করি যে, আগামী ১৫/১২/২০১৭ইং তারিখ আমার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবে বিধায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করব। উল্লেখ্য যে, ১৫/১২/২০১৭ইং তারিখ শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটি এবং কলেজ বন্ধ থাকবে সেহেতু ১৪/১২/২০১৭ইং তারিখ চাকরি বিধি মোতাবেক শেষ কর্ম দিবস হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান এবং উপস্থিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার বিধিবিধান আছে বিধায় কর্মস্থলের যোগদানের বিষয়ে ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সুযোগ দানের ব্যাপারে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় অধ্যক্ষ মহোদয়কে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ৬৮২৭/১৪ নং রীট মামলার ০৪/১২/২০১৭ইং তারিখের রায়ের আদেশ/নির্দেশ কার্যকর করতে/বাস্তবায়ন করতে গড়িমসি করেন। এমন কি এ বিষয়ে অবগত করার পরও কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।

অধ্যক্ষ মহোদয় আমাকে আরো বলেন যে, মাহমান্য হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত তারিখের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে কলেজ গর্ভণিং বডির সভাপতির সাথে চট্টগ্রামস্থ তাহার বাসায় স্বাক্ষাৎ করার জন্য আমাকে পরামর্শ প্রদান করেন।

তাহার পরামর্শ অনুসারে আমি গত ১২/১২/২০১৭ইং তারিখ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাযের পর চট্টগ্রামস্থ চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকায় কলেজ গর্ভণিং বডির সভাপতি বাসায় যাই। কিন্তু তিনি আমার সাথে স্বাক্ষাৎ করতে অনিহা প্রকাশ করেন এবং বলেন আপনার কোন কথা থাকলে মোবাইলে আলাপ করতে বলেন। তাহার কথার পরিপ্রেক্ষিতে ৬:৪৫ মিনিটে তাহার মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের গত ০৪/১২/২০১৭ইং তারিখে ৬৮২৭//১৪ নং রীট মামলার আদেশের/নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থাৎ চাকরিতে চকরিয়া ডিগ্রী কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল পদে পূনঃ বহাল সহ কর্মস্থলের যোগদানের নিমিত্তে তাহার নিকট আবেদন করি। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আমাকে বলেন যে, আমি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছি বিধায় আপনি ১৩/১২/২০১৭ইং কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। তাহার পরার্মশ অনুযায়ী আমি গত ১৩/১২/২০১৭ইং তারিখ বেলা ১১টার সময় চকরিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের কার্যলয়ে স্বাক্ষাত করি ঐ সময় কলেজের ৭/৮ জন সিনিয়র শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। কর্মস্থলে যোগদানের বিষয় ও উপস্থিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার জন্য অধ্যক্ষ মহোদয়কে বারবার অনুরোধ করি। কিন্ত তিনি আমাকে কর্মস্থলে যোগদানের ও স্বাক্ষর করার সুযোগ না দিয়ে বিভিন্ন ধরণের অজুুহাত দেখিয়ে বিলম্ব সহ গড়িমসি করেন এবং আমাকে পুনরায় কলেজ গর্ভণিং বডির সভাপতির সাথে যোগযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন। অধ্যক্ষ মহোদয়ের এ ধরণের হয়রানি মূলক কার্যক্রমে আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। উল্লেখ্য যে, অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে অদ্য ১৪/১২/২০১৭ইং তারিখ কর্মস্থলে যোগদান করতে গিয়ে আবারও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি।

বিনীত

মোঃ আবু তাহের

ভাইস প্রিন্সিপাল

চকরিয়া ডিগ্রী কলেজ,

০১৮৭৯-০৪১৮০৫

পাঠকের মতামত: