ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বিয়ের দুই মাস পর যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে তাড়িয়ে দিয়েছে যৌতুক লোভী স্বামী

চকরিয়া অফিস:

বিয়ের দুই মাস পর যৌতুকের জন্য অমানষিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছেন এক গৃহবধুকে। প্রেম করে বিয়ে করলেও যৌতুক লোভী স্বামী আবদুর রহিম প্রায় সময় মারধর করতো তার স্ত্রী রোজিনা আক্তারকে। স্বামীর যৌতুক ও নির্যাতনের বিচারের চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই গৃহবধু। রোজিনা চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড মৌলভীরচর এলাকার মৃত নজির আহমদের মেয়ে।

নির্যাতিত গৃহবধু রোজিনা আক্তার বলেন, তার স্বামী আবদুর রহিম চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়নের বরইতলী গ্রামের আলী বকসুর পুত্র। সে পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ি। গত চার মাস পূর্বে তার সাথে মোবাইলে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১৫ অক্টোবর ইসলামী শরীয়া মতে তার সাথে বিয়েও হয়। শান্তির্পূনভাবে দেড় মাস ধরে সংসার করলেও তার স্বামী রহিম যৌতুকের চাপ দিতে থাকে। বিয়ের সময় যৌতুক না চাইলেও ব্যবসার নাম দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

রোজিনা আরও বলেন, একইভাবে গত দশ দিন পূর্বে ব্যবসার জন্য দুই লাখ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনতে বলে তার স্বামী রহিম। আমি টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে মারধর করে।

এভাবে বিয়ের পর থেকেই আবদুর রহিম যৌতুকের জন্য রোজিনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। এইনিয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। এরপরেও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। সম্প্রতি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রোজিনা বাবার বাড়িতে চল যায়। রোজিনা আরও বলেন, টাকা না আনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রোজিনা টাকা আনতে পারবেনা বলায় তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় রহিম।

স্থানীয়রা জানান, রোজিনাকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে আসছে আবদুর রহিম। এইনিয়ে জনপ্রতিনিধিদের একাধিক বার শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তার স্বামী প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ##

পাঠকের মতামত: