ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পর্যটক ছাড়াই খাঁ খাঁ করছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন

কক্সবাজার প্রতিনিধি :::

লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে দেড় মাসের নিষেধাজ্ঞায় ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের।

তারা জানান, এ সময় এই রুটের ছয়টি জাহাজ বসে থাকার পাশাপাশি সেন্টমার্টিনের ১শ ৪টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ছিল পুরোপুরি পর্যটক শূন্য। আর সেখানকার ১০ হাজার লোক ছিল এ সময় উপার্জন ছাড়া।

পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটক ছাড়াই খাঁ খাঁ করছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সৈকত এলাকা। পর্যটকবাহী নৌকাগুলো মাঝি-মাল্লা ছাড়াই অলস পড়ে আছে সৈকতে।

এখানকার রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান, ডাব বিক্রেতাদের গত আট মাস কোনো বেচা-কেনা ছিলো না বললে চলে। অথচ এখানকার বাসিন্দাদের আয়ের মূল উৎসই হলো পর্যটন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, ‘অনুমতি না পাওয়ার কারণে জাহাজ আসছিলো না। তাই দোকানপাট বন্ধ ছিলো।’

শুধু সৈকত এলাকা নয়, পর্যটক আসতে না পারায় তালাবদ্ধ রয়েছে এখানকার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। দ্বীপ এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে এখানকার বাসিন্দাদের আয়ের সময় হলো ৬ মাস। বাকিটা সময় তাদের অলস কাটে।

মূলত প্রতি বছর পহেলা অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিগামী জাহাজ চলাচল শুরু হলে তাদের আয়ের পথ খুলে। কিন্তু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় নিয়মিত ছয় মাসের পাশাপাশি পর্যটন মৌসুমের বাড়তি দেড় মাস বেকার থাকতে হয়েছে তাদের।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘কত মানুষের যে ওই পর্যটক উৎসের ওপর রিজিক। সবাই এখন অনাহারে।’

পর্যটন মৌসুমের প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে ৫ হাজার এবং স্থানীয় বোটগুলোতে প্রায় দু’হাজার পর্যটক টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসে। সব মিলিয়ে গেল ৪৫ দিনে সেন্টমার্টিনের পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে অর্ধশতাধিক কোটি টাকার বেশি।

শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের আয়ের পাশাপাশি পর্যটকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ১৫ নভেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক জাহাজ চলাচল।

পাঠকের মতামত: