ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় প্রবাসীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় স্কুল ছাত্রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় প্রবাসীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দু’স্কুল ও মাদ্রাসা ছাত্রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রিজার্ভ সম্পত্তি নিয়ে তিন আপন সহোদরের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে আপন ভাই ও ভাইয়ের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন বড় ভাই। অপরদিকে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে অপর আরেকটি মামলা করেন তার গর্ভধারনী বৃদ্ধা মা। মামলা, হামলা ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে আপন ভাইদের বিরোধ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আধিপত্য নিতে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করার খবর পাওয়া গেছে। পেকুয়া থানা পুলিশ গত ২০ দিনের ব্যবধানে অন্তত কয়েক দফা ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি রমিজপাড়া এলাকায় এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, রমিজপাড়া এলাকার মৃত শের আলীর ছেলে মনজুর আলমের সাথে তার অপর দুই ভাই ফজল কবির ও নুরুল কবিরের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১৯ বছর আগে রিজার্ভ জমি বিক্রি ও বন্ধকী নিয়ে মনজুর আলমের সাথে ছোট ভাই ফজল কবিরের বিরোধ দেখা দেয়। সে সময় একটি হত্যা মামলায় আসামী হন মনজুর আলম। আর্থিক সংকটে রিজার্ভের মনজুর আলমের ভোগ দখলীয় ৭০ শতক জায়গা হস্তান্তর করেন ফজল কবিরকে। ওই জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বর্তমানে অচলাবস্থা দেখা দেয়। মনজুর আলম জানায়, ওই জমি তিনি ছোট ভাইকে বন্ধক দিয়েছেন। অপরদিকে ফজল কবির জানায়, জমি তাকে নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প মুলে চিরতরে বিক্রি করে দিয়েছে। সম্প্রতি বিক্রি ও বন্ধকী নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে ১৫ অক্টোবর সকালে মারপিট হয়। এ সময় মনজুর আলম ও তার ছেলে সৌদি প্রবাসী মৌলভী ওসমান গণি আহত হন। ১৭ অক্টোবর পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-১১/১৭। ওই মামলায় মনজুর আলম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে। মামলায় দুই শিশুকেও জড়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ফজল কবিরের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ ৭ম শ্রেনীর ছাত্র। এ ছাড়া নুরুল কবিরের ছেলে সাইফুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে। সাইফু বটতলী শফিকিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ও ইউসুফ ইক্বরা স্কুলের ছাত্র। অপরদিকে মনজুর আলমের বিরুদ্ধে তার মা মোস্তফা খাতুন(৮০) মামলা করেছেন। খরপোষ ও অবাধ্য সন্তানের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেছেন। মনজুর আলমের ভাই ফজল কবির জানায়, আমি প্রতিবন্ধী। আমার ছেলে শাহাদাত হোসাইন মরিশাস থেকে এসেছে। আমরা এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করেনি। মনজুর আলম একজন মামলাবাজ। তার ছেলেকে জখমী দেখিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। ছেলে দুইদিন পর সৌদি আরবে চলে যায়। তারা জঙ্গী তৎপরতার সাথে লিপ্ত। অপরদিকে মনজুর আলম জানায়, তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী। সে দিন আমি ও আমার দুই ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তারা আমার বিপুল জমি দখল করার চেষ্টা করছে। যে কোন মুহুর্তে আমাকে প্রাণনাশ ঘটাতে পারে। পিতার বসতবাড়ি আমি নির্মাণ করেছি। এখন আমাকে দেশ ছাড়া করার পরিকল্পনা করছে। পুলিশ এসেছে আমি জানমালের শংকায় ভোগছি।

##########

পেকুয়ায় কৃষকের স্ত্রীর খোঁজ নেই ৩ দিন

পেকুয়া অফিস :

পেকুয়ায় কৃষকের স্ত্রীর খোঁজ নেই ৩ দিন ধরে। পরকীয়ার সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটাতে ৭ সন্তানের জনকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন বলে ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেছেন। উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া সেগুনবাগিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিরুদ্দেশ হওয়া ওই গৃহবধূর নাম হাসিনা বেগম(৩৬)। তিনি ওই এলাকার কৃষক বশির আহমদের স্ত্রী। এ দিকে ৪ সন্তানের জননী ৭ সন্তানের জনক ও একাধিক স্ত্রীর স্বামীর গোপন প্রেম অতপর অজানার উদ্দেশ্যে পলায়নের এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্য পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত তিন দিন ধরে স্ত্রীকে খোঁজছিলেন স্বামী। তবে কোথাও সন্ধান মেলেনি। সুত্র জানায়, ওই নারী নাহিদা বেগম নামের ৫ম শ্রেনীর তার এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। অপর তিন শিশুকে ফেলে নিরুদ্দেশ হন। মহিলার স্বামী বশির আহমদ জানায়, গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে হাসিনা বেগম উধাও হন। এ সময় স্বামী পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে নাস্তা করছিলেন। এ সুবাধে তার অজান্তে নগদ টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের রিং নিয়ে পালিয়ে যান। স্বামী জানান, একই এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে মনজুর আলমের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক আছে। মনজুর আলম শিলখালী ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তাদের গতিবিধি সন্দেহ জনক ছিল। স্ত্রীর সাথে সার্বক্ষনিক মুঠোফোনে সম্পর্ক ছিল। তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নারী সদস্য এ নিয়ে বৈঠক করে। গত এক বছর আগে স্ত্রীর কারনে সমাজচ্যুত হয়েছি। মনজুর আলমের ৪ স্ত্রী ছিল। একজন মারা গেছে। আরও তিনজন রয়েছে। ৭ সন্তান তার।

#################

পেকুয়ায় এবার ভিক্ষুকদের জায়গা দখলে নিতে প্রভাবশালীর তান্ডব

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় এবার ভিক্ষুকদের জায়গা দখলে নিতে তান্ডব চালিয়েছে প্রভাবশালীরা। এর জের ধরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দারিয়াখালী এলাকায় মারপিট ও ভাংচুরসহ তান্ডব হয়েছে। এ সময় এক ভিক্ষক ও তার পিতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে দারিয়াখালী রুপাইখালের নিকট এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ভিক্ষুক ছৈয়দ আলম(৩০) ও তার পিতা শাহ আলম(৫৫)। এ সময় ভিক্ষুক ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে জড়ো হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার পেতে এ ঘটনা সংবাদ পত্রে প্রকাশ করতে মিডিয়া কর্মীদের স্বরনাপন্ন হন। প্রাপ্ত সুত্র জানা যায়, ৬০ শতক জায়গা নিয়ে ২০/২৫ বছর ধরে শাহ আলমের পরিবার বসতি করছেন। জায়গা ডেপুটি কমিশনার ভূমির মালিকানাধীন। খাস জমি তারা আবাদ ও বসতি উপযোগী করে। একই এলাকার রেজাকুল হায়দার চৌধুরীর পুত্র মোসাদ্দেক হায়দার চৌধুরী ভিক্ষুক পরিবারকে উচ্ছেদ করতে কৌশল নিয়েছেন। জায়গাটি স্ট্যাম্পমুলে বিক্রি করেন মোসাদ্দেক হায়দার চৌধুরী। সম্প্রতি ওই জায়গা থেকে বিতাড়িত করতে প্রচেস্টা চালান তিনি। আবু তাহের নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রির পায়তারা করছেন। এর জের ধরে অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদ করতে মারধর ও তান্ডব চালায়। এমনকি তাদেরকে প্রাননাশের হুমকিও দিচ্ছে বলে এ প্রতিবেদককে জানায় ভিক্ষুক ছৈয়দ আলম। গোঁয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী ও ভিক্ষুক ছৈয়দ আলমের মেয়ে শাবনুর জানায়, আমার বাবা ভিক্ষা করে করে টাকা জমিয়ে এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ জমি ক্রয় করে। কিন্তু আমরা অসহায় হওয়াতে ওই প্রভাবশালীরা আমাদের মাথাগোজার শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিতে চাই। আমরা প্রশাসনসহ সচেতন মহলের কাছে এদের ি বরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার চাই।

পাঠকের মতামত: